যাহা বলেছ, তাই মেনেছি
আমরা যত প্রজাকূল,
তাহার পরেও উঠতে বসতে
ধরতে মোদের শত ভুল।
সত্যি বলারও উপায় ছিলনা
মেনেছি অন্যায় কতশত?
করিতেও পারিনি প্রতিবাদ।
সহিয়াছি যত, বাড়িয়েছ তত
নির্যাতন আর অত্যাচার,
এভাবেতেই একদিন বিলুপ্ত হলো
শোষণকারী জমিদারী প্রথার।
উল্লাসেতে সেই দিন
ছলছল দুটি চোখ
আনন্দেতেই কাঁদিয়া কাঁদিয়া
আশায় আবার বাঁধি বুক।
রইবেনা আর দুঃখ মোদের
হবেনা আর নির্যাতন
হয়তো এবার পেলাম মোরা
অভিশাপ মুক্ত নবজীবন।
প্রজা জীবন নয়তো সোজা
এ যেন এক মস্ত বোঝা,
তাহার পরেও অন্ধকার ছাড়িয়ে
সভ্যতারই আলো খোঁজা।
খোঁজতে খোঁজতে একদিন
শুনিল এক মন্ত্র
এখানেতে সবাই সমান
নামটি যে তার 'গণতন্ত্র'।
উল্লসিত প্রজাকূল,
আশায় আবার বাঁধে বুক।
রাজার ছেলে নয়তো রাজা,
সকলের মতেই হবে রাজা।
মত প্রকাশের যে আয়োজন,
তার নামই নাকি, নির্বাচন।
নির্বাচনেই তুমিও নাকি
করতে পারবে দেশটা শাষণ।
শাষণ নয় সেবা করব
শাষক নয় সেবক হব।
নেতার মুখের এসব কথা
সত্যি ভেবে হচ্ছি বোকা।
নেতার যে আজ অনেক বল
কাঁটা, লেংড়া নামে, রয়েছে তার
ভিন্ন ভিন্ন ছাঁয়া দল।
ছাঁয়া দলের কথাই আইন
মানতে বাধ্য প্রজাকূল।
চাইলে জমি দিবে লিখে
না হলেই গুলি চলবে বুকে।
মা, বোনদেরও নেইতো রক্ষা
ধর্ষণ শেষে করছে হত্যা।
চাইতে বিচার যাই পুলিশে
উল্টো কেস্ এ যাচ্ছি ফেঁসে।
সফুরকে বোনের ধর্ষক বানায়,
কাদের কেও আবার ডাকাত সাঁজায়।
পুলিশ হেফাজতেও হচ্ছি যে লাশ,
কি করে করি বিচারের আশ?
উল্টো মোরাই পাচ্ছি সাজা,
প্রজা জীবন মস্ত বোঝা!