শেষ চিঠিটা আজ তোমার তরে
প্রেরণ করলাম প্রিয় অতি যত্ন করে।
মৃত্যু প্রতিনিয়ত দরজায় টোকা মারে
ভয় করিনা প্রাণ বিনাশ ঘিরে
ভয় হয় তুমি কেমন থাকবে কার ঘরে!
সাদা কাফন মুড়ে কফিন বন্দি করে
শববাহকরা আসবে কাঁধে করে
তুমি কি দেখবে অতি চেনা চোখ দুটো
কেমনে আছি আমি বন্ধ করে?
তুমি কি কাঁদবে চিৎকার করে?
না তুমি কাঁদবে নিরালায় বসে?
জানি তুমি গোপনে চোখ মুছবে আঁচল দিয়ে
তবে শোন, চোখ মোছাতে পারবোনা
আগের মতো একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে
কেন বলতো,আমি যে থাকবো নিঃস্বাড় শুয়ে।
তোমার কান্নার বলি হোক তা নিঃশব্দ
তবে আমি শুনতে পাবো
মানুষ যতই থাকুক ব্যস্ত।
মৃত্যুকে বরণ করবো হাসি মুখে
কেন বলতো, চিরসুখি তোমার সুখে
চিরদুঃখী তোমার দুঃখে।
জানি মিলবোনা ইহজীবনে
তবে আশা রাখি দেখা হবে
কাল কেয়ামতের ময়দানে।
রাতের অন্ধকার কাটলেই কাল
তাইতো বুনেছি অপেক্ষার জাল।
রাতের অন্ধকারটা কবরে থাকবো
একা শুয়ে খোদার কাছে হাত পাতবো
তোমার সুখের জন্য আর্জি জানাবো।
জানিনা কারো অন্তরে থাকবো কি না থাকবো
তবে তোমার হৃদয় মন্দিরে চিরকাল বাস করবো।
পরকালে মিলিত হওয়ার জন্য
আমি তোমার পথ চেয়ে বসে থাকবো।
শেষ চিঠি তোমাকে দিলাম প্রিয়
পত্র খানি অন্তর দিয়ে পাঠ করিও।
ইতি তোমার অভাগা পাগল প্রেমিক।।
(কৃষ্ণপুর,বৈষ্ণবনগর,মালদহ)