"চাঁদ"
সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত ঘনালে
ঘোমটা সরালো চাঁদ,
কেটে দীর্ঘ আঁধার রাত;
পেঁচার মতো সজাগ দুচোখ
তারার মতো জ্বলে,
ভেসে ওঠে স্মৃতি হঠাৎ হঠাৎ
ঘোলাট নোনা জলে।
যে দীর্ঘকালের বদ্ধ হাওয়ায়
দম ফেলা বড় ভার,
সে বিষন্নতার নীরবতা ভাঙে
চাঁদের আলো তাঁর।
চোখের পলকে দৃষ্টির কাঁচ
ভেঙে গড়ে কতো রোজ
একেক করে ঝলকে ওঠে সব
তোলপাড় করা খোঁজ।
জ্যোৎস্নার কান রোজ শোনে এই
মৃতের বিলাপ সব,
তার আকাশ জুড়ে যে বৈশাখী ঝড়!
চাপা পড়ে যায় রব।
পরে শব্দেরা হেরে হাওয়ায় ভাসায়
পোড়ামনের এই গন্ধ,
ছেয়ে মলয়বনের নিশুতির ঘ্রাণে তার
সেই পথও হয় বন্ধ।
শেষে দাখিল হলো রাতের আকাশে
অসংখ্য কত চিঠি
সবই লিখা ছিলো কেবল ছিলো না
খামের ঘরে ইতি।
তাই বুঝি কভু বোঝেনি সে উহা
কার হৃদয়ের বাণী?
জাগেনি তাহার অন্তরে সাড়া
বাড়িলো কেবল গ্লানি।
অথচ ফুটবে ভেবেছি এ শূন্য ডালে
শিমুল ফুলের শাড়ি
তাই তো সে রাতের আকাশ ভ্রমণে
ফিরিয়া আসিনি বাড়ি।
আমার আলো রাখিয়া যেদিন
গেছি দূর আন্ধারে
মোর সত্য সেদিন আর ডাকেনি তো,
ফেরায় নি আর মোরে।
লিখেছি চাঁদকে আসছি গো রেখো
তোমার বাঁধানো ঘর,
তুমি চাঁদ শুধু ওই আলোই বরিলে-
আমি সূর্য হলাম পর।
সে রাতে আমি এই বুঝিলাম-
তোমার দেশের তরে,
সফরের দূর তবু বহু কম ছিলো
যত ছিলো অন্তরে।
তুমি দুনিয়াজুড়ে প্রশংসা সব
একাই কুড়িয়ে নাও।
আমি আপন গাত্র পোড়াই নিত্য
যেনো তুমি চাঁদ আলো পাও।
তবু তোমার নিকট কৃতজ্ঞতার
আশা কভু নাহি রাখি,
শুধু হঠাৎ গ্রহণে দেখা হয়ে গেলে
লুকিয়ে নিয়ো না আঁখি।
পৃথিবীর কাছে যে কাব্য তুমি!
প্রেমের প্রতীক আজও।
দোয়া করি-
তার কাছে তুমি এইভাবে যেনো
হাজার বছর বাঁচো।
মলিনতা কভু না ছোঁক তোমায়
ছাই হোক যত কালো;
আমি রাঙাই তোমায়
আলো দেই তুমি উজ্জ্বল হয়ে সাজো!
আকাশমণি চাঁদরূপে তুমি লক্ষ বছর বাঁচো।
#_I__TIZ🍁