সুলতানা, এই জনাকীর্ণ শহরের ধুলোবালিতে
তোমার পায়ের শব্দ হারিয়ে যায়।
গলি থেকে গলিতে, দালান থেকে স্বপ্নে—
তুমি বয়ে চলো নির্বিকার এক বাতাস।

তোমার চোখের কোল কি জানে
অন্য কোন দিগন্তের কথা?
তোমার আঙুলের ডগায় কি থাকে
সময়কে ছুঁয়ে ফেলার আকাঙ্ক্ষা?
নাকি তুমি কেবলই এক ছায়া—
যে আসে, আবার হারায়।

এই ভাঙা শহরের চিৎকারে,
হাইড্রলিক হর্ণের ক্রোধে
কান পুড়ে যায় আমার।
তবু কোথাও ভেসে ওঠে
তোমার হাসির অস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।
জানি না, সুলতানা,
তুমি কি আমার কাছে এক গভীর প্রশ্ন,
নাকি উত্তরহীন এক শূন্যতা।

রাতের শেষ প্রহরে,
স্মৃতির আগুনে পুড়ে যায় আমার হৃদয়।
ডিনামাইটে ফেটে পড়ে
প্রত্যাখ্যানের দগদগে ক্ষত।
তবু আমি ফিরে আসি
তোমার আলোহীন দরজার সামনে।

তৃষ্ণার্ত বুক নিয়ে দাঁড়াই,
তুমি বলো—‘এই তো জীবন’।
আবেগের ফোয়ারা ভেঙে পড়ে চোখে,
তুমি বলছ—‘সবই তো ঠিকঠাক’
দেখে নিও—‘কাল সূর্য উঠবে’
অতচ দেখ, আমি ডুবে যাই গার রাত্রির অন্ধকারে!

তুমি এক খুনি সুলতানা!
তোমার নীরবতায়,
তোমার নিরাসক্ত দৃষ্টিতে
মরে যায় আমার সমস্ত সম্ভাবনা।