চেনা স্মৃতির জানালা খুলে
মাঝে মাঝে পুরনো গন্ধ পাই,
মনে হয়, যেন তোমার শাড়ির আঁচলে
আজও লেগে আছে শুকনো মেঘের রং।

নির্জন এই নৈঃশব্দ্যে দাঁড়িয়ে
তোমাকে এখনো খুব কাছে মনে হয়,
তোমার দিনগুলো কাটছে হয়তো
ভালো থাকার রুটিন মেনে।
তুমি কি সত্যিই খুব ভালো আছো?
নাকি ভালো থাকার ভান করছো,
ঠিক আমার মতো!

সেকেন্ড মিনিট গুনে গুনে দিন চলে যাচ্ছে,
সারাদিন ব্যস্ততা, ঘর, এই সাজানো জীবন।
তবুও কিছু স্মৃতি, কিছু ছায়ার রং
আজও বুকের কোণে কাঁপে কিঞ্চিৎ।
নিয়মমাফিক সুখ খুঁজে পেতে
আবছা আলোয় বসে যাই,
নিজেকে বলি, আমি খুব ভালো আছি।

জানো, এ শহরে
ভালো থাকার নিয়ম বেঁধে দেওয়া-
জীবন আটকে থাকে ক্রিস্টাল কাঁচের কারাগারে;
এখানে কেউ শিখিয়ে দেয় না,
তবু মনে হয় যেন বলছে সবাই—
ভালো থাকা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।

তোমার শঙ্খনীলা নামে রেখা কেটে
যেমন লিখেছিলাম একদিন,
তেমনি আজও
ভালো থাকি, চোখে মুছে নেই বিষাদের রেখা।
তবে মাঝে মাঝে সেই অনুভূমিক রেখা
হালকা কেঁপে ওঠে, খুবই সামান্য।
শুধু এইটুকুই, আর কিছু না।

এখন প্রতিদিন নিজেকে বলি
ভালো আছি, খুব ভালো আছি আমি,
এই বন্দিশিবিরে
নীরবে এই কোলাহলের উৎসবে
ঝুলতে থাকে আমার
ভালো থাকার স্থায়ী প্রজ্ঞাপন।