দেখা হয়নি বলে—
এখন আর চুপিচুপি দীর্ঘশ্বাস ফেলি না।
অপেক্ষার কফি ঠান্ডা হলে
এখন আর সেই তেতো স্বাদে তোমার নাম খুঁজি না।

কথার অভাবে কেটে যায় একটা একটা ঊষর দিন,
রাতের কোলাহল
বাড়ি ফেরার গান গেয়ে যায়—
আমি একা, নিঃশব্দ।

ফোনের স্ক্রিনে পুরনো কথোপকথন ঘেঁটে ঘেঁটে
ক্লান্ত হয় আঙুল,
তবুও সেসব শব্দের ভেতর
আর কোনো জীবন খুঁজে পাই না।

তোমার পথচলা কিংবা ট্রেনের হুইসেল শুনলে
মনে পড়ে না আর
তোমার হাতে ধরা সেই পুরনো ডায়েরি।
তোমার ছোঁয়া ভরা বইয়ের পাতাগুলো
এখন আমার কাছে নিষ্প্রাণ শব্দের স্মৃতি।

তবুও—
মেঘলা আকাশে হালকা রোদ দেখলে,
ঝড়ের পরে ভিজে মাটির ঘ্রাণ পেলে,
কিংবা কোনো হাসির মাঝে
এক ফোঁটা বিষণ্ণতা খুঁজে পেলে—
মনে হয়,
তুমি এখনো আছো কোথাও,
অদৃশ্য কোনো করিডোরে।

তুমি হয়তো আর ফিরবে না,
তবুও মাঝে মাঝে ভাবি,
কখনো কি সময় পিছিয়ে এসে বলে যাবে—
‘এখনো সব ফুরায়নি’
ভাঙা স্মৃতির ভেতরেও
মনে পড়ার মতো কেউ একজন এখনো আছে।