পরিযায়ী বাতাসে উড়ে যায় বিষন্নতার চাদর
পোড়ামাটি পায়ে জড়িয়ে আসে কিছু বেহায়া ধূলিকণা,
অচেনা রাতের বুক থেকে উঠে আসে
দীর্ঘশ্বাসের সুরে বাঁধা কিছু নীরব চিৎকার।
শব্দের শরীর থেকে খসে পড়ছে অনুচ্চারিত কষ্ট,
আলো নেই— শুধু কিছু ছায়া, কিছু ছায়ার ফাঁক,
মন নেই— শুধু অস্থির শূন্যতায় ভরা কিছু দৃষ্টি।

আমার পায়ের তলায় এক নদী ছিল—
অথচ সে শুকিয়েছে সময়ের ধারালো রোদে।
খসে পড়েছে আকাশের এক ফোঁটা নীল রঙ,
আমি তাতে ডুবিয়ে দেখি মন— শূন্য, বর্ণহীন।
ভাঙা জানালার ওপারে সময়ের ছাইয়ের মতো,
আমাদের মনের গাঢ় ছায়ায় তলিয়ে গেছে আগুনের অক্ষর...
যেখানে
শব্দ নেই
রোদ নেই
স্বপ্ন নেই।
শুধু
ভেতরে লুকানো এক নির্বাক মানুষ,
সে মিলিয়ে যাবে ধোঁয়ার ভেতর,
সে মিশে যাবে নিঃশেষিত ঘুমের কিনারায়।

আজকাল প্রকৃতি একফোঁটাও ভালো লাগে না
মেঘের গানও মন ছোঁয় না,
ভালো লাগে না দূরের পাহাড়, নদীর কলরব কিংবা হাওয়ার উচ্ছলতা....

একটা নিঃশব্দ পৃথিবী আমাদের গোপন বিষণ্ণতা,
একটা ক্লান্ত মানুষ আমাদের নীরব ব্যথা,
একটা ভাঙা সমাজ আমাদের বেদনার প্রতিচ্ছবি।
_____________√√√___________