সেদিন একটি মেয়ে, কবিতা চুরি করল !
বলে কিনা, সেটা ওর নিজ হাতে লেখা ৷
আমি সবরকম প্রমাণ নিয়ে হাজির
তবু সে নাছোড়বান্দা, সেও দেখাচ্ছে সত্ত্ব৷
আমি বলি, বলুন তো, এটার অর্থ কী?
আমি অবাক, দিব্যি মিলে গেল!
আমি যখন বললাম, এই যে "ঢেউয়ের কথা"
সেটা, কী ভেবে লেখা, বলতে পারেন?
এবার সে চুপ, আমার ঠোঁটে মিষ্টি হাসি ৷
সে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল ৷
মনে মনে বলছি, আকাশ থেকে উত্তর আসবে না চুরি করা কবি ৷
কান্নার শব্দ আসছে, হ্যা, মেয়েটি কাঁদছে ৷
মেয়েটি আকাশের দিকে চোখ মেলে অঝোরে কাঁদছে ৷
আমি কঠোর স্বরে বললাম, কবিতাটি সত্যিই আমার, এবার বিশ্বাস হলো তো?
মেয়েটি অবিরাম কেঁদে যাচ্ছে, বাকশক্তি হারিয়ে ফেলল নাকি !
শক্ত হয়ে রইলাম, ওর কান্নায় গলে যেন না পড়ি৷
মেয়েটি আমাকে মেঘ দেখাতে শুরু করল, চোখের জল শুকোয় নি তখনও ৷
কত রকম কত স্তরের মেঘ, কেউ হালকা
কেউ ভারী, কেউ আবার নেমে আসতে চাইছে !
কিছু কিছু মেঘ আনন্দ উল্লাসে উড়ে বেড়াচ্ছে
কিছু কিছু মেঘ এত গম্ভীর, কিছু মেঘের এত দুঃখ।
আমার চোখে কখন যে জল চলে এল মেয়েটি হয়তো টের পেয়েছে
তা না হলে কীভাবে বলছে, "মেঘেদের ঢেউয়ে" আপনিও কেঁদে উঠেন !
আমি ফিরে আসছি তারপর, অভিযোগ নেই আর।
মেয়েটি পেছন থেকে দৌড়ে এল।
-এই যে, কবিতাটি শুধু তোমার ছিল না, আমিও লিখেছিলাম
মেয়েটি তুমি বলেছিল সেদিন থেকেই
আর চুরি হয় নি আমাদের কবিতা।