বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা আকাশ , বাতাসের ভিজে গন্ধ-
কাকভেজা গরুদের ঘরফেরা ,মনের দরজা ছিল বন্ধ।
বিদ্যুতের চোখধাঁধানো ঝলকানি, বৃষ্টির টিপটিপ শব্দ-
আকাশ বাতাস মুচকি হেসে বলে, করলাম কেমন জব্দ?
বন্ধ কারখানার গেটে তালা, অশান্তির ছায়াঘেরা পরিবেশ-
শ্রমিকের বিভ্রান্তির আগুন, শুভবুদ্ধির উদয়ে অবশেষ।
অন্ধকারের বুকচেরা আলোর ঝলকানি,আশার প্রদীপ জ্বেলে দাড়িয়ে-
সারি দিয়ে অপেক্ষায় লৌহ ইমারত, স্বপ্নেরে দিতে চায় আগে বাড়িয়ে।
নিশাচর পাখী উড়ে যায় ডেকে, ফিরে যায় বাড়ি ফেরা মানুষের দল-
নতুন ভোরের সুর্য্য যখন উঠবে পুবের কোনে, রাস্তায় মানুষের ঢল।
ফিরবে ধাতব শব্দের সুর, ঘামে ভেজা সব দেবতার রূপ,
খেটে খাওয়া সব মানুষের ভিড়, অতীতের ক্ষোভ ভুলে আজ তারা চুপ।
স্বপ্নের সব কারিগর তারা , হাতে গড়ে তোলে দেশের ভাগ্য-
দু মুঠো যোগাড়ে ঘরছাড়া সব, দিতে তো হবেই তাদের প্রাপ্য।
রাতের আকাশে মেঘের আড়ালে, হাসিমুখ চাঁদ ঘোমটা টেনেছে-
আমার মানসীর মুখখানি ভার, অভিমানী মন নীরবে কেঁদেছে।
নিশ্চুপ রাতে মাঠে ঘাটে সব, ঝিঁঝিপোকাদের মিছিলের রব
একাকী ঘরের কোনে বসে আজ, স্মৃতির দুয়ার খুলেছে যে সব।
ভোরের আকাশে সোনালী সুর্য্য, উঠবে যখন পুবের কোনে-
হয়তো আবার শুধুই আমার, উঠবে সে মুখ ভেসে মোর মনে।