আমি বর্ষার মেঘ হয়ে মুখভার করে ভেসে বেড়াই দুর আকাশের কোনে,
কান্নার স্রোত হয়ে কখনো বা ঝরে পড়ি তোমার ই পরে-
বিদ্যুতের সঙ্গমে আমার শিহরণে স্পন্দিত দুনিয়ার নাড়ি,
আমার অপেক্ষ্যায় নতশির সেই বাদামী পাতার ভারে নুয়ে পড়া শাল-
শুকনো নদীর বুকে এনে দিয়ে জোয়ারের উচ্ছলতা আমি হেসে উঠি ,
পৃথিবীর ঘর্মাক্ত কৃষকের মুখে এনে দিয়ে হাসি আমার তৃপ্তির শীতকার-
জলে ভেজা সবুজ ধানের ক্ষেতে এসে লাগে হাওয়ার দোলা আমায় দেয় উল্লাস,
কখনো বন্যায় ভেসে যাওয়া ক্ষেত জমি মানুষের ঢল এনে দেয় বিষাদের ধারা,
আকাশের বুকের ধারা নিংরে করি এই নবীনা পৃথিবীকে রজ :স্বলা।
তোমায় দেখেছি জানলার ধারে আয়ত চোখে চেয়ে থাকা চাতক পাখীর মতো শুধু আমার আশায়,
তোমায় দেখেছি নাচের ছন্দে খোলা আকাশের নীচে আমার ধারায় স্নাত হতে,
বিন্দু বিন্দু মুক্তধারা শুধু গড়িয়ে পরেছে তোমার মসৃণ ত্বক বেয়ে ,
দু হাতে যখন তুমি মেখেছ আমার রেণু হাসির বন্যায় ভেসে,
ভিজে চুলের ঝড়ানো স্ফটিকের কুঁচি দিয়েছে আমায় প্রতীক্ষার ফল,
আবার ফিরে পেয়ে প্রাণের স্পন্দন আমি ধেয়েছি দ্বিগুন বেগে ধরিত্রীর পানে,
অজেয় অমোঘ বর্ষার নৃত্য ছন্দে বন্দিত প্রকৃতির গেয়েছি জয়গান।