হারিয়ে যাওয়া এক ফালি সন্ধ্যের চাঁদ খুজে ফেরে অশান্ত মন,
জানলার ফাঁক গলে চুইয়ে পড়া ম্লান সোনালী রোদের এক চিলতে ধারা করে অবসন্ন,
এক ঝড়ের ভারে না নুইয়ে পড়া বটগাছের ঝুরি নেমে এসেছে মাটির গভীরে,
জীবনের অপরাহ্নের বলিরেখা অস্পষ্ট এক ছায়া ফেলে যায় চিন্তার গভীরে,
নদীর ওপারের সান্ধ্য ঘন্টাধ্বনি আর আজানের শব্দ একাকার হয়ে যায় গোধুলীর মাধুর্য্যে।
একটু থেমে দাড়িয়ে হিসেবের খাতায় আঁকিবুকি কেটে ফিরে পাওয়া কিছু পল,
এক চিলতে হাসির রেখা এনে দেয় ঠোঁটের কোনে ভালোলাগায়,
পেছন ফিরে দেখা অন্ধকারের ছায়াভুত কখনো এনে দেয় অবসাদ,
আগামীর অনাগত শঙ্কা স্বস্তি দেয় জীবনের মিশ্র অনুভুতি,
পাশে চলা পথিকের কাঁধ ছুয়ে কখনো পড়ে দীর্ঘ্শ্বাস কখনো বা হাসির ফোয়ারা,
ইতিহাসের পাতায় শুধু লেখা থাকে না অনুভুতির ছাপ ,খালি কিছু ঘটনা -খাপছাড়া।
পথের মাঝে দেখা হওয়া হঠাত কোন এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া-
ঊল্টে পাল্টে দেয় জীবনের গতিহীন স্থিতিশীলতার আশীর্বাদ,
মাঝসমুদ্রে সাঁতার কাটা জাহাজডোবা নাবিকের খুজে পাওয়া নাও-
ফিরিয়ে দেয় জীবনের মাধুর্য্যের এক ডালি ঐশ্বর্য্য-
পুর্ণিমার চাঁদের জোয়ারে ভেসে যায় জীবনের সায়াহ্নের গ্লানি,
এক নতুন সন্ধ্যার সমুদ্রপারের খোলা হাওয়ার মাঝে দাড়ানো একাকী পথিক।