দুরন্ত পাহাড়ী নদীর ধারে হাওয়ার সাথে লড়াই করে দাড়িয়ে অরণ্য আমি,
দুর্বীনিত অন্ধকারভেদি চাঁদের মসৃণ আলোকধারায় আমায় স্নান করতে দাও-
আমার চারিধারে পাইনের পাতার মাঝে বয়ে যাওয়া বাতাসের শব্দ আমার ঘুমের লোরি,
শীতের বরফ ঝরা রাতে আমার গায়ে জড়িয়ে ঠান্ডা কুয়াশার চাঁদর,
আমি ও আমার দিনরাত্রির মাঝে শুধু বয়ে চলা নদীর ধারাস্রোতের শব্দ।
মাঝরাতের কলোচ্ছ্বাস ভেসে আসে শুধু লাজুক নদীর বুক হতে
আমার অস্তিত্বের ঝঙ্কারে সুর মিলে যায় সেই কলধ্বনির -
আমার আকাশছোঁয়া শীর্ষ শাখা মাথা নুয়ে আলিঙ্গনের বাঁধায় বাঁধতে চায় নদীর স্রোতের দুরন্তপনাকে,
মাঝরাতের পুর্ণিমার চাঁদ নিঃশব্দে সাক্ষী থাকে সেই অভিসারের-
এভাবেই পুর্ণতা পায় অরণ্যের অশান্ত দিন রাত্রি।