নাম তার বলতে মানা তাই তো অনামিকা সে পৃথিবীর কাছে,
স্বচ্ছ্সলিলা পাহাড়ী নদীর খরস্রোতা ধারা ,
এক মুখ হাসি আর চঞ্চলা হরিণীর চাল অস্থির আনমনা,
চলনে বলনে সে যে দিশাহীন সরলতার একটুকরো সংগীত,
নিজের বেগে বয়ে নিয়ে যায় অচল অনড় পাথরের বড় সব টুকরো-
নাম জানাতে লজ্জা পেয়ে অবনত চোখে ছুটে ছুটে পালায়।
একদিন দেখা হলো জঙ্গলের ধারে কিচিরমিচির পাখীর ডাকের মাঝে,
দুটো সাদা বক বুকে এসে বসে একখানি শালপাতার ওপর-
মনের আয়নায় তার সুখের প্রতিবিম্ব এক চিলতে্ হয়নিকো কম,
কত কথা কত হাসি বয়ে চলা অস্তিত্বের মাঝে ,
সে তো স্বপ্নের মাঝে গড়া সেই সুখের কারিগরের প্রাণমুর্তি।
আজ ও সে বয়ে যায় আপন মনে নেচে গেয়ে পাহাড়ের বুকে
বাঁধ না মানা হাসির জোয়ারে ভেসে যায় অনুভুতির শিলামুর্তি,
কখনো লাজুক কিশোরী সে যে কখনো বা হেয়ালী যুবতীর রূপ-
এক চিলতে ছুয়ে যাওয়া দিয়ে ফেরে স্পর্শের একরাশ ভালোলাগা,
ছুটে ছুটে নাচের ছন্দে এ তো আমার অনামিকা রূপ।