রাতের প্রতিটি তারা সাক্ষী রইলো একমুঠো প্রতীক্ষার-
দুর আকাশের বুকে উড়ে যাওয়া রাতজাগা পাখীর ডানায় লুকনো আমার স্বপ্নের দিশা,
জ্যোত্স্নার ঝর্ণাধারায় অর্ধস্নাত আমার ইচ্ছের ছোট ছোট বলিরেখা,
কোথাও কখনো কেউ আজো পায়নিকো দেখা সেই একরাশ বাধ্ভাঙ্গা ভালোবাসার।
তোমার দিনের শেষে আজ ও শুধু খুজে ফের আবেগহীন শুন্যতা -
যোজন দুরে বসে থাকা আমি শুধু অপেক্ষায় শব্দের মুর্ছনার,
খোলা জানলার ফাঁকে দেখা আকাশে জলজ্বলে ধ্রুবতারা-
আমায় ফিরিয়ে দেয় আশ্বাস শুধু সেই ভবিষ্যতের ফাগুন রঙ্গের ধারা।
গ্রীষ্মের দাবদাহে শুকিয়ে আসা জীবন নদীর পাথুরে খাদে শুধুই ধুসরতা-
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে শুধু অপেক্ষা বর্ষার সজীব ধারার,
হয়তো বা পাহাড় চুড়োয় জমে থাকা শতাব্দীর কাঠিন্য আজ নেমে আসে,
ভাসায়ে নিয়ে যায় শুধু সব বাঁধা একরাশ ভালোলাগার ফল্গুধারায়।
আজ যদি বিধাতার লেখনীতে শুধু ফিরে পাই আপনার বিধি,
লিখে নিতে পারি এক ভবিষ্যতের হলফ্নামা ,
নেই কোন পৃথিবীর শক্তি বাধা হয়ে আগামীকালের ভোরে,
সুর্যের উজ্জ্বল আলোক্ধারায় ফিরিয়ে না দেয় সেই সোনালি দিনের দিশা।