কী ভীষণ, না যায় সহন
মানসিক যাতনার এই দহন।
বুঝবে কেউ, তবে দূরে থেকো না ভুলেও
শুনে যাও একবার অনিচ্ছাসত্ত্বেও।
আমি সমমনা, তাই বুঝি সেই যাতনা
নিজের কথা নাই বলি করি সেই বর্ণনা।
বুঝিনি সেদিন, কিন্তু স্মৃতিতে অমলিন
এদিক সেদিক ঘুরেও মুখটা তার মলিন।
মহামারী লেগেছে নগরে, মানুষ মরছে নির্বিচারে
গোর ধারণের ঠাঁই নেই সেই ছোট্ট শহরে।
মেয়েটি মরেছে তার, কী করে নেবে সমাহিতের ভার
গোরস্থানে যে জায়গা হবে না সবার।
এছাড়া তো নেই উপায়, কোথায় রাখবে তারে চিরনিদ্রায়
যদি জোগাতে পারে টিকেট তবেই রাখা যাবে শয্যায়।
কত ধর্না ধরি, কত জায়গায় ঘুরি
সাধারণের জন্য নয় অবশেষে বুঝতে পারি।
ফিরে দেখি সেথায়, পড়ে রয়েছে হেলায়
সর্বভূক যারা, খাচ্ছে পেয়ে নিরালায়।
মাথা ঘুরে পড়ি তক্ষুণি, ক্ষমাটুকুও চাইতে পারিনি
কতক্ষণ জানি না, জ্ঞান ফিরে দেখি অবশিষ্ট কিছুই রাখেনি।
আবার লুটায়ে পড়ে, সেও কি গেলো মরে!
না, জাগলো সে কিন্তু জাগ্রত আর বলে না তারে।
কী করুণ হায়, ফুটে উঠেছে কি বর্ণনায়
অদ্যাবধি সে মিছেই টিকেট বিলিয়ে যায়।