রক্তিম আলোর তেজ বাড়িয়ে সূর্য যখন আরো উপরে উঠছে
তখন কোথা থেকে যেন এক ঝাঁক ঝড়ো হাওয়া ধে এলো
অদ্ভুত হবে সময় টা কে বদলে দিয়ে নিযের মতো করে সাজালো
সূর্যকে ঢেকে দিলে ধূসর কিছু জলভর্তি মেঘ
আকাশটা ছেয়ে গেল হালকা এক স্নিগ্ধ ঠান্ডা আলোতে
কিছু পাখি প্রহর ভুল করে অগোছালোভাবে উঠতে লাগলো
আকাশ ছেড়ে যেতেও চাইছে না কিন্তু আলো বলছে বাসায় ফিরতে
এক পশলা হাওয়া যেন জলের হাত বুলিয়ে দিল মুখে সারা শরীর ঠান্ডা মোলায়েম একটা আবেশে ভরে গেলো
দুহাত মেলে আকাশের দিকে উঁচুতে মাথা তুললাম দেখলাম অনেক উপর থেকে বৃষ্টির ধারা আমার দিকে নামছে
কয়েকটা মুহুর্তের মধ্যে আমার সারা শরীর ভিজে গেলো
আর পারলাম না দাঁড়িয়ে থাকতে শুয়ে পড়লাম
ফোটার পর ফোটা মিলে বৃষ্টির ধারা হয়ে ঝরতে লাগলো
বৃষ্টির একেকটা ফোটা যেন একেকটা মহাসাগর আমাকে ভেজাবার ব্রত নিয়ে অনেক দুর থেকে থেকে ধেয়ে আসছে
চোখ বন্ধ হয়ে গেলো একা অন্ধকারে ভিজতে থাকলাম
জানিনা পুরোটা ভিজলাম কিনা কিন্তু বৃষ্টি থামলো
একটা কাকের ডানা ঝাপটানিতে হুশ হল র্বৃষ্টি কমেছে
সূর্যদেব আবার স্বমহিমায় ফিরছে আস্তে আস্তে
সূর্যের সাথে সাথে আমিও ফিরলাম বাস্তবে
কারণ কর্মজীবন আমায় ডাকছে যেতে হবে কাজে
কিন্তু অনুভূতিটা সঙ্গে নিয়ে গেলাম
হাতটা একটু ফাঁকা হতেই কাগজে বন্দি করলাম

তীর্থ