আমাদের পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে,বাড়ছে সুযোগ,বাড়ছে চাহিদা।
মানুষ সেই শ্রেষ্ঠতায় বিরাজ করে যেখানে নিজেকেই সে ধ্বংস করে।
কোনো এক আদি যুগে যখন মানুষের পাশেই থাকতেন ঈশ্বর,
ফিরতি পথে কোনোদিন হয়তো দেখা হয়ে যেতো,
হাটতে হাটতে উনি বলে দিলেন উদ্দেশ্য তার জন্মের,
হাসতে হাসতে ওনার বিশেষ একটি মুদ্রা দিলেন উপহার।
সময় যত এগোতে থাকলো ওনার যাতায়াত কমলো।
নিয়ম মেনেই চলেছে সব ধীর গতিতে ধ্বংস মুখে,
এখন যে যুগ বর্তমান চারিদিক সোনার মত ঝলকানি,
তাইতো ছুটছে সবাই কাড়ি কাড়ি সোনার সন্ধানে।
তপ্ত বালুরাশির পথে নগ্ন পায় সোনার কুচি হাতড়ে বেড়ায়।
আগুন পায়ের চামড়া গলিয়ে দেয় আর মরুভূমির বিষ সারা শরীর।
এই প্রকাণ্ড ফ্যাকাশে প্রান্তর মানুষ তার বাসভূমি বানিয়েছে
আর যারা একবিংশ শতাব্দীর মাত্রায় বিরাজ করে,
তারা শুধু ভয় দেখায়,আঘাত হানায়,আঁধার ঘনায়।
তবুও ভাবে মানুষ বালি পেরোলেই সুনীল সাগর,
মারুভূমিকেই তারা সমুদ্র সৈকত ভাবে,যেমন পাথরকে ভাবে স্বয়ম্ভু।
এগিয়ে চলে দিশাহীন দিকে,সেই সোনার খোজ আর বিশাল সমুদ্র।
এরা কিন্তু অন্ধ হতেই ভালবাসে,হাতড়ে বেড়াতে সুখ পায়।
নিজের শরীরের দায়িত্ব নিজে নিতে চায় না,অবলম্বন খোঁজে অবিরত,
আর যাদের ব্যাবসা অবলম্বন হয়ে বাঁচা,অপরকে বাঁচানো,
তারা খুবই কম সংখ্যায় হওয়াতে মন্দা চলে বাজারে।
যদিও মরুভুমি রঙ পাল্টায় রামধনুর সাথে তাল রেখে,
কিন্তু তার উষ্ণতার কোনো তারতম্য ঘটে না, তা শুধুই ক্রমবর্ধমান।