পূর্ব জন্মের স্মৃতি ঠাসা মগজে।
আরো অনেক আগে যখন আমি সামান্য,
যখন এক ভাগের স্থল ও ছিলো জলে,
তখন হয়তো এক ব্যঙাচি ভেবেছিলো।
ভেবেছিলো এই পৃথিবীটা তার মা, তার বাসভূমি।
পৃথিবী বদলানোর দায়িত্ব পেলো মানুষ।
মানুষ জন্ম দিলো এক যন্ত্র নামক দানবকে,
পৃথিবী শাসন হলো আরো সহজ,
সব নিয়ম, সব বেড়া একে একে ভেঙে গেলো
সবুজ পৃথিবী রং বদলালো হয়ে উঠলো ধূসর।
মাটির আর্দ্রতা শুষে নিলো প্রখর তাপ।
ঘন অরণ্য হয়ে উঠলো ঘন জন বসতি।
বৃক্ষের ফল আর প্রয়োজন নেই এখন,
প্রয়োজন তার অস্তির, চড়া দামে তার সওদা হয়।
মানুষ চাইলো আরো জায়গা তাদের ধুসরতার জন্য।
এখন জোনাকির আর আলো নেই,
এখন পাখিরা আর গান গায় না,
এখন ফুলে আর গন্ধ নেই,
এখন আর বাতাস বয় না,
শুধু থেকে,থেকে আসে ঝড়;
ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে সব তাসের ঘর,
পৃথিবী তার সব রাগ উগরে দেয় আগ্নেয়গিরি থেকে।
মানুষ তোমরা ছেড়ে চলে যাও এই পৃথিবী,
তোমরা গেলে ওই সাপটা, ব্যাঙটা, গাছ গুলো বাঁচে।
তোমরা কেনো পৃথিবী টাকে এতটা বদলে দিলে?
তোমাদের তো ভালোবেসে এই পৃথিবী জন্ম দিয়েছিলো।
তোমরা কেনো ভালবাসলে না তাকে?
সময় যদিও আর নেই, তবুও যদি কিছু থাকে,
একবার চেষ্টা করে দেখো না যদি পারো,
যদি পারো এই পৃথিবী টাকে একটু ভালোবাসতে,
যদি পারো এই পৃথিবী টাকে নিজের মা ভাবতে,
আর যদি পারো তাকে নিজের সন্তান ভাবতে,
তাহলে আর চিন্তা থাকবেনা কারোর,
তখন তুমি রাখবে এই পৃথিবী টাকে দুধে ভাতে।।