কতদিন আকাশ দেখিনি।
মেঘ এক্কে মেঘ, মেঘ দু'গুণে দুই-
কত নামতা পড়া বিকেল
খোকনের ঠোঁট ছুঁয়ে
বাউল হয়েছে জানালার পাশ দিয়ে।
বিশ্বাস করো, আমি উঁকি দিইনি।
উঁকি দিইনি আলোয়,
কোনও শব্দে;
চোখ রাখিনি ফুলে,
নিষেধ মাড়ানো অস্তপাখির ডানায়,
ইচ্ছেনদীর সালঙ্কারা ঢেউয়ে।
জানো, নিঃশ্বাস অবিশ্বাসী হলে
সাহস বুড়ো সন্ন্যাসী হয়।
শুধু চিৎকার করে বলেছি
রবিঠাকুর, রবিঠাকুর ফিরিয়ে দাও
তোমার 'মধু-গন্ধে ভরা' পৃথিবীর আজন্ম অধিকার।
একটা বদ্ধঘর,
কত বড় পাঠশালা হতে পারে জীবনের...
তার দেয়াল জুড়ে দেখেছি
মহাজীবনের কত অজানা সঙ্কেত।
রাত্রি গভীর হলে
সময় শুশ্রূষা মাগে জীবনের কাছে।
আমিও মেগেছি, ভোরের কাছে আলোর প্রতিশ্রুতি।
কথার কাছে কবিতার,
সুরের কাছে আকণ্ঠ সমর্পণের।
উচ্ছুত বলে কী হৃদয় বিকিয়ে দিয়েছি!
অভাবের অভিধানে হায়
চোখ খুইয়ে জেনেছি-
পৃথিবীর প্রাচুর্যের একটাই নাম- মা।
স্তব্ধতার প্রতিস্পর্ধী এক আদিগন্ত ভালোবাসা।