ইচ্ছে করে, যন্ত্রণার গায়ে জোর করে মাখিয়ে দিই
ভালোবাসার ইমালশন ।
ঘাড় ধরে চুবিয়ে আনি বাইপাসের ধারের পুকুরটায় ।
যেখানে প্রায় বিকেলে ভীনদেশি রংধনু স্নান করে
ভিজে শরীরে দিগন্ত ছুঁতে যায় ।
শুনেছি- ওখানে আকাশ দাঁড় বাইতে আসে
হাওয়া-নৌকায় ।
মেঘলা বোতাম আঁটা
আসমানী রঙের পাঞ্জাবীটা ছেড়ে
যেই না আকাশ-মাঝি স্রোতের ঠোঁটভাঙা ইশারায়
একটু অন্যমনস্ক হয়-
অমনি, মুখচোরা হাওয়ার গায়ে
ওঠে ওই নীল ।
সত্যিই তো ।
ভর ফাগুনে বিবর্ণ কি থাকতে আছে !
আমার পাড়া-বেড়ানো তোতাপাখিই এ খবর
জানিয়ে ছিল ।
জানিয়ে ছিল-
ওই সীমান্ত পারের পাড়া-গাঁয়ে
কোনো কাঁটা-তারের বেড়া নেই,
প্রহরী নেই,
কিচ্ছু নেই ।
এই না থাকার ভিড়ে রাজার মতো দাঁড়িয়ে আছে
এক ডাকঘর ।
লোকে নাকি শব্দের খামে সংলাপের আঠা এঁটে
নিশ্বাস-রুদ্ধ যন্ত্রণাকে পাঠায় ডাকবাক্সে ।
এরপর যে কখন ফিনিক্স দম্পতি
ও চিঠি নিয়ে যায়-
আর ভালোবাসার ওমে ভিজিয়ে
হাওয়ার পিঠে বেশ আচ্ছা করে শুকিয়ে
ফেরত দিয়ে যায়
সে কেবল তারাই জানে ।
ওই পাড়াটাই যদি আমার পৃথিবী হতো !
ওখানে ভালোবাসা ভালোবাসার লাজুক আঁচে নীল হয়,
আমার ভুবনডাঙার নীলে মিছিল করে- দীর্ঘশ্বাস ।