। শুধু এইটুকু।
বোধি বোধগম্য নাই হতে পারে,
নির্বাণ মনে হতে পারে বড় খটোমটো ভাষা,
যার অর্থ দুরূহতর হবে!
শুধু এইটুকু মনে রাখি তবে,
খিদে-পেট যাতনাতে জ্ঞান কিছু থাকে না মাথাতে,
সাফল্য পেতে প্রয়োজন থাকে পায়েসের ভালোবাসা।
কী বলেছেন তিনি, পণ্ডিত করুন তার টিকা-টিপ্পনি,
সারাংশে ছাঁকনিতে উঠে আসে একটাই বাণী,
হও অহিংসক, শান্তির খোঁজ করো মনে ও সমাজে,
আমরা সাজিয়েছি শুধু যুদ্ধের ছক,
শান্তি’র নামে আজ লক্ষ মানুষ মারা অস্ত্ররা সাজে,
এসময় ক্ষমা দয়া ইত্যাদি দুর্বলতা,
যার আছে, তাকে ভীরু বলবে জনতা,
শুধু এইটুকু মনে রাখলেই হবে পূত তথাগত-বাণী,
ঘৃণার বদলে ঘৃণা আত্মের হানি।
বুদ্ধং শরণং ক্রমেই ঠেকেছে এসে বুদ্ধ-স্মরণে,
ছবি ও বাণীর বানে হাবুডুবু খাওয়াবেই সামাজিক মাধ্যমগুলো,
ভয়ে কেঁপে মরি আজও জরা অসুখ আর অমোঘ মরণে,
যতই জীবন হোক আদতে কাহিনী এক ধুলো থেকে ধুলো,
কে আর মানতে সেটা চাই,
তাঁর কথা মনে রেখে এটুকুই করি,
ভালো’র আলোয় চলো সকলকে ছুঁয়ে দিয়ে যাই।
অ-প্রশ্ন বিশ্বাসে মানা না কিছুই,
কবেই গেছেন বলে ঈশ্বর অগ্রাহ্য করা সেই বিপ্লবী,
আমাদের সাধ্য না সাধারণ মগজে সেই জ্ঞান ছুঁই,
ঈশ্বর বানিয়ে তাঁকে নমো নমো করে যাই কল্পিত ছবি।
সত্য পরখ করা আটকে গিয়েছে আজ গুগলের জালে,
দৃশ্য অ-দৃশ্যতে ক’ডলার লেনদেন
অ্যালগরিদমের আড়ালে,
সেটা তো গুগল করা সম্ভব নয়!
শুধু এটুকুই তাঁর শলা মেনে নিলে হয়,
যতক্ষণ নিজে না জানি যা পড়ছি পুরোটাই সত্যের সোনা,
ততটা সময় তাকে ফোনে ছড়াবো না।
বোধি নির্বাণ আদি বিষয় জটিল
জ্ঞানী ও দার্শনিক ছাড়া সেসবের মানে করা ভারী মুশকিল,
অত ভারী ভারী কথা কে ভেবেছি কবে,
শুধু এই ছোটোখাটো কথাগুলো মনে রাখি তবে?
তাহলেই হবে,
আঁধারের বুক চিরে ঘরে ঘরে ঠিক তাঁর আলো পৌঁছোবে।
আর্যতীর্থ