। স্কেপগোট।

একটা মিথ্যা কথা বলতে হবে তোমায়। রাজি?

কি! কী?

সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য। আগে কথা দাও, বলবে।

ইল্লি আর কি!  খামোখা মিথ্যে বলবো কেন?

ধরো তাতে একজনের প্রাণ বাঁচবে।

আচ্ছা, তাহলে বলতেই পারি।

যার প্রাণ বাঁচবে সে একজন লুণ্ঠনকারী।

ধ্যাৎ! তার জন্য আমি মিথ্যে কথা বলতে যাবো কেন!

তোমাকে বখরা দেবে, রাতারাতি হয়ে যাবে অতিশয় ধনী।

আচ্ছা, তাহলে ভাবতে পারি। শতাংশে কত?

দুটো জিনিসের শতাংশ হয় না। শূন্য আর অন্তহীন।
তোমার নিবাস শূন্যে । তবু জিজ্ঞেস করছো?

তাও তো ঠিক। আচ্ছা রাজি। অগ্রিম পাবো?

পাবে। দেখো, এই নোটের তাড়া। নেবে কিনা ভাবো।

নেবো, নেবো। ঘরেতে অভাব থিতু,
পূর্ব-প্রজন্ম সিন্দবাদের বুড়োর মতো ঘাড়ে চেপে আছে,
উত্তর-প্রজন্মের ভবিষ্যৎ
ভূতের মতো কল্পিত অস্তিত্বে,
বিশ্বাস করলে আছে, বাস্তবে হয়তো বা নেই।
একাকী লড়াই করে শিরদাঁড়া ফাঁপা,
নোয়ানো বা বেঁকানো অতীব সহজ,
উপযুক্ত মূল্য পেলে বেচে দিতে পারি।
ভাববার কিছু নেই, রাজি আমি।

ঠিক তো?
ভাববে না পরে হলো ভীষণ বোকামি?
ভেবে বলো একবার।

কিছু নেই ভাববার  ।
বেকার বর্তমানে উপায় তো নেই কিছু আগে দেখবার।
কী মিথ্যে বলতে হবে , সেটা শুধু বলো এইবারে।

তেমন কিছুই নয়। ওর দোষ নিতে হবে ঘাড়ে।
সংক্ষেপে, সে হবে তুমি আর তুমি হবে সে।

সে কি! গোটা পরিচয়টাই বদলাবে শেষে ।
না না,
এতখানি মিথ্যে যে  আমি পারবো না।

রাজি হয়ে গেলে একবার,
আর নেই কোনো আলোচনা।
হয় ওই পরিচয়ে বাঁচো কিছুদিন,
নয় তুমি মুছবে এখনি।
অরাজিতে পরিবার পথে,
রাজি হলে আশাতীত ধনী।

বুঝেছি।
যে কোনো পথ বাছি, আমি হবো খুনই।

এরপরে মুছে গেলো একটা মানুষ।
সে কেউ নয়, শুধু স্কেপগোট।
কোনোখানে তাই নেই কোনো আলোড়নই।

আর্যতীর্থ