। সব পেরো না।
‘আমি নারী। আমি সব পারি।’
দাঁড়াও দাঁড়াও, একথা ফেলো না বলে এত তাড়াতাড়ি।
সব মানে কী শুনি? নারী হবে এত গুণী
একা হাতে সামলাবে ঘর আর বাড়ি, বলছো কি তাই?
তাহলে দরজা খোলা, মানে মানে পথ দেখো ভাই,
মেয়েদেরও দুটো হাত, দুটো পা আর ঘাড়ে একটাই মাথা,
‘সব’ পারবার মতো আলাদা ক্ষমতা ভরে পাঠান না প্রকৃতি-বিধাতা ,
আর যদি পাঠাতেনও, তাহলেই বা সে সব করে যাবে নাকি?
নারী নয় যারা, তাদের জীবন তবে শূন্যের আরামের ফাঁকি?
সবটা পেরো না নারী। পারলেও কিছু বাকি রাখো।
ওরা চায় ঠিকঠাক চিনি দেবে চা’য়,
সকালে টিফিন বানানো, বিকেলে স্কুল থেকে বাচ্চাকে আনো,
‘ঘরের লক্ষ্মী’ হয়ে গোটা ঘর সামলিয়ে রাখো, তারপরে..
তারপরে হবে বিজ্ঞানী, ডাক্তার, উকিল , শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার,
‘ আমি নারী , আমি সব পারি’ .. ব্যাস, বার খেয়ে কাজে লাগো ডিয়ার!
অভিধান থেকে যতদিন না
মেয়েলি ও পুরুষালি কথা দুটো যাবে, নিস্তার নেই ।
পুরুষ ছিটকে উঠে বলবেই, ‘ আমি না, রান্না পারি না..’
না পারা দোষের নয়,
যদি সে স্বীকারোক্তি আফশোষের হয়,
যদি তার পরে আরেকটু শোনে সাথী হতে চাওয়া নারী
‘ তবে, রাতের বাসনগুলো মেজে দিতে পারি।’
দাঁড়ি যদি পড়ে যায় রান্না পারি না’র পরে,
তাহলে পরিস্থিতি ভারী নড়বড়ে,
‘ আমি সব পারি’ যেন বোলো না গো ভুল করে মেয়ে,
সব কাজ ঘাড়ে ফেলে তখন দেখবে সে শুধু চেয়ে চেয়ে।
সব কেন পারতেই হবে? ঘরকন্নার কাজ কেন জ্ঞাতব্য হবে সব কন্যারই
যে শেখার শিখে নিক প্রয়োজনমতো,
পুরুষ বা নারী।
সব কাজ কেউ পারে না , এক শুধু সিনেমাতে যায় দেখা পাওয়া
তুমি নারী, তুমি পারো সব,
এ কেবল ভুল দিকে ঠেলে দিতে পালে দেওয়া হাওয়া।
ও শুনে ভুলো না নারী। ওটা পুরুষালি সুরে বাঁধা গত গাওয়া।
আর্যতীর্থ