। পিছু দেখা।

বাইফোকালের ঝাপসা চোখে ছেলেবেলা মাপি,
স্মৃতিরা যার  বিষাদকালে সুখ কুড়োবার ঝাঁপি।
মোবাইলবিহীন,  বিনা টিভি বইতো বই-য়ে দিন,
শোধের উপায় দেয় না সময় ভিত বানানোর ঋণ।

তখন পাঠের পড়তোনা কোপ  খেলাধুলার মাঠে,
কিশোর হাসির হয়নি নিলাম কোচিংক্লাসের হাটে।
বন্ধু ছিলো স্কুলের কিছু, বাকি পাড়ার সবই,
খেলে না যে, তাকেও ডাকা,‘চল রেফারি হবি’

স্কুলে জুজু শিক্ষকেরা, বাড়িতে মা বাবা,
ভগ্ন আশায় কাড়তো না প্রাণ ডিপ্রেশনের থাবা।
বেঞ্চের ওপর দাঁড় করালে মান যেতো না কারো,
জানলে বাড়ি, তার ওপরে পড়তো আবার মারও।

রবিবারে মাংস বাঁধা, মায়ের হাতের মাটন,
( দুপিস করা আলুর কি স্বাদ, আঙুলে ঝোল চাটন..)
রবিবারে বাবাও বাড়ি, বেজার মুখে তাই,
বড্ড ফাঁকি’র নালিশ শুনেও অঙ্ক কষে যাই।

পাড়ার কাকু’র একটা টিভি, ওপরে অ্যান্টেনা,
খেলা  হলে দেখতে গেলে কেউ কিছু বলবেনা।
হঠাৎ দমকা হাওয়ায় দুলে ছবিতে ঝিরঝিরি,
অগত্যা তাই অল ইন্ডিয়ার কমেন্ট্রিতে ফিরি।

ময়দানে ম্যাচ, অজয় বসু, পুষ্পেন সরকার,
ইস্ট-মোহন যে কারণ কত মারপিট ঝগড়া’র!
শব্দ বোনেন ইভা নাগ আর দেবদুলাল বন্দ্যো
ব্রেকিং নিউজ আসার পরে যেমন খবর বন্ধ।

বাইফোকালের ঝাপসা কাঁচে ছেলেবেলা মাপি,
শুনতে পাচ্ছি মায়ের গলা ‘ পড়তে বোসো বাপী’...

আর্যতীর্থ