।নোঙর।

‘চরম অস্থায়ী জীবনের প্রতিদিন নোঙর খুঁজতে কেটে যায়,
কি আশ্চর্য না?’

‘আশ্চর্য কেন হবে, কথাটা তো শোনা। যার যেটা নেই , সেটাই তো খুঁজবে সে, মানুষ অমর হলে সংসার চাইতো না, ভেসে যেতো প্রেম খুঁজে খুঁজে।’

‘সে তো এখনও যায়! স্ট্যাটাসে দেখোনি কি জুটি বদলায় কি পরম সহজে, আজকের ঘন জুড়ি কালকেই লেখে হ্যাপিলি সিঙ্গল?’

‘সুখী ও একাকী? ওটা মনের চালাকি, বিষাদের ক্ষতমুখে ছদ্মপ্রলেপ, লেখার মানেই হলো সে ভালো নেই, একলাটি হয়ে। আসলে সবাই খোঁজে হাত ধরা হাত।’

‘অথচ বরাত দেখো, সে হাতের শিকলির কত আয়ু কেউ জানেনা, লেনা দেনা চুকিয়ে বুকিয়ে কবে দুটো পথ বেঁকে বিপরীতে যারে, আগামী তা রেখেছে লুকিয়ে..’

‘অতশত কে ভাববে বলো! যেই চরে নাওখানা ভেসে আটকালো, তাকেই ঠিকানা ভাবলে দোষটা কোথায়?
নোঙর নোঙর খেলে দিন কেটে যায়।’

‘দোষ আছে তা বলছিনা। শুধু সেটাকেই ধ্রুব ভেবে জীবন আটকে দিতে কারণ দেখি না,  বরং শুরু থেকেই মনে করা ভালো, বিনা কোনো অ্যালার্মে শেষ হতে পারে।’

‘ওইভাবে খেলে যারা, গোহারান হারে। উড়ু উড়ু মন হলে প্রেম থিতু হতে পারে কখনো সেখানে! শেষ ভেবে শুরু থেকে কেঁপে যায় যে, তার কাছে খেলাটারই নেই কোনো মানে।’

‘তাহলে বলছো এই ‘ সকলই অনিত্য’ ভাব চুপচাপ বাঁপকেটে রেখে, লোকে যেন মুহূর্তে অনন্ত লেখে, তাহলেই ঠিক হবে সব?’

‘ঠিক তাই, ছাড়ো এই অস্থায়ী রব। যতক্ষণ রয়েছো সে সময়টা স্থায়ী। কবে উদ্বায়ী হবে আচমকা ঝড়ে, সেই ভেবে সন্দেহ জমালে শিকড়ে, চলে যেতে হবে শুধু আক্ষেপ নিয়ে।’

‘অতএব, চলো যাই নোঙর নামিয়ে..’

আর্যতীর্থ