। মি টু।
নিটোল মুখোশের ঠোটের কোণা বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা লালা।
তৃপ্তির ঢেঁকুরে চাপা পড়ে আছে অধস্তন ধর্ষিতার হঠাৎ কঁকানো।
জিরো এফ আই আর নেই, আছে আশরীর নিরুপায় উৎপাত জ্বালা
সম্ভ্রম গিলে নিয়ে কান্না চাপাই ভালো, নচেৎ বন্ধ হবে সামনে এগোনো।
চুপ! একদম চুপ! , সামাজিক মহীরূহে ওটা মগডাল, ওখানে পুরুষ সব সাধু।
নেকনজরে এলে নেকলেস পাবে নজরানা, ভ্রুকুটিতে অন্ধকার নামে,
হরিণী কি জানে তার নিজের মাংস খেতে কতখানি স্বাদু,
নেকড়েরা চেটেপুটে খেয়ে নিলে স্মৃতি ভরে রেখে দেয়
অ-সাকিন খামে।
বলবে বা কাকে মেয়ে? চারদিকে যত কেউকেটা, সকলেই নেকড়ের গ্লাসতুতো ভাই,
অথবা নেকড়ে তারা অন্য নারীর। ক্ষমতাসীনের কাছে ধর্ষক না হওয়া বড্ড কঠিন।
তাছাড়া অভাব নেই অভাগীর দেশে। শারীরিক হতে যদি ধানাইপানাই,
তবে দূর হটো। চলে গেছে প্রতিভাকে ধুয়ে ধুয়ে জল খাওয়া দিন।
অবশেষে পাওয়া গেছে চিলতে আলো। অতীতকে খুঁড়ে কালো ইতিহাস তুলে আনে কেউ,
উর্ধতনের চোখে চোখ রেখে নারী বলে এ শরীর আপনার জায়গীর নয়,
উদ্ধত অপরাধী সভয়ে ভাবছে বসে কখন ভাসিয়ে নেবে সুনামির ঢেউ,
‘ মি টু’ শব্দদুটো ছড়াচ্ছে মুখে মুখে, দেখা যাক এইবার কার পালা হয়।
পুবের আকাশ লাল, থিতু আঁধারের আজ হবে পরাজয়...
আর্যতীর্থ