। কতখানি।
কতখানি পেয়ে গেলে জীবনের থেকে, বলা যাবে মরণ স্বাগত?
বাসনা নির্বাপিত হলে নির্বাণ পাবে,
বলে চলে গিয়েছেন কবে তথাগত,
রিপুদের যুদ্ধতে সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করে কেউ বুদ্ধ হয়েছেন তার পরে,
সে খবর কোনোখানে নেই ,
অবসরে রাজি নয় কেউ এ সফরে,
সকলেই চায় আয়ু থাকুক না আরো,
আরো কিছুদিন যেন পৃথিবীতে বাঁচে,
কতখানি জীবনের উপহার পেলে,
বলবে মৃত্যু আয় এইবারে কাছে?
অথচ ভাবতে গেলে অমোঘ সত্য এই ‘নেই’ হয়ে যাওয়া,
জীবন নামক এই চোদ্দ আনাটি জন্মজনিত পড়ে পাওয়া,
দু আনার সন্ধানে বাকি আয়ু কেটে যায়,
তারিখের সরণিতে মানুষেরা হেঁটে যায়,
কতখানি সুখ পেলে দুঃখের কথা ভোলে লোক,
কতখানি প্রেম ঢাকে হারানোর শোক,
কতটা সফল হলে ব্যর্থতা কথাটাকে
কেটে বাদ দেওয়া যায় অভিধান থেকে,
সে হিসেব কারো জানা নেই,
অথচ সে ফর্মূলা খোঁজে প্রত্যেকে।
আজ অবধি যতজনে নিজে থেকে ছেড়ে চলে গিয়েছে জীবন,
তৃপ্তি নিয়ে কি গেছে কেউ?
কেউ কি বলেছে, ওফফ, বেঁচে থেকে ভরে গেছে মন,
এইবারে নিভে যাওয়া যাক,
নাম পরিচয় সব বিশ্রাম নিক,
সফরের থেকে নাম তুলে নিয়ে অবশেষে ঘুমাবে পথিক?
এ এক আশ্চর্য মোহ,
প্রতিদিন বেঁচে থাকা কাল তিল ভালো’র আশাতে,
শত শোক যন্ত্রণা ব্যর্থতা সয়ে
ভরসা নোঙর করা থাকে তবু কোনো ভালোবাসাতে।
কতখানি পেয়ে গেলে জীবনের থেকে,
সহাস্যে বলা যাবে আর নয় সময়ের সাথে রোজ যুদ্ধ?
কতটা তৃপ্ত হলে আশা ও আকাঙ্খার স্রোত হতে পারে একেবারে রুদ্ধ?
মানুষ জানবে বলে উত্তর বুকে নিয়ে
তিন হাজার সাল ধরে
প্রতীক্ষা করছেন তথাগত বুদ্ধ।
আর্যতীর্থ