। জাত।

একটা পায়েল চাইছে সতী, আরেক পায়েল নেই,
কোনদিকে যে দেশ চলেছে হারিয়ে ফেলি খেই।
ভোটের খোটায় বদ্ধ মানুষ জাতের খোঁটায় লড়ে,
গোটা দেশে কোটা’র লড়াই চলছে ঘরে ঘরে।

একুশ শতক উনিশ হয়ে চলছে কুড়ির দিকে
আজও হরেক ফর্মে ভারত জাত চলেছে লিখে।
এক নাগরিক আরেক থেকে কতভাবে ভিন্ন
ভোটের হিসেব বাঁচিয়ে রাখে সযত্নে তার চিহ্ন।

এমন হবে, ভাবেননি তা বাবা আম্বেদকার,
চেয়েছিলেন সব জাতে যাক উন্নতি শিক্ষার।
নিচুতলার মানুষগুলো সবার সমান হোক,
তেমন আশা রেখেছিলেন সংবিধানের লোক।

সমান সমান দেয়নি হতে ভোটবিভাজক দৈত্য
নানান জাতের মধ্যে জেগে তুষারযুগের শৈত্য।
ক্ষয়িষ্ণুমান চাকরিবাজার, কর্মবিহীন শিক্ষায়
বেকার যুবক জাতের কাছে পেটের ভাতের ভিখ চায়।

জাতের আগুন দাউ জ্বলে যায় ভোটের বারুদ স্পর্শে,
মধ্যযুগের আঁধার আজও কায়েম ভারতবর্ষে।
রোহিত পায়েল ঘটবে কেন, আর এরকম শোক না,
সব পদবী কেটে শুধুই ভারত লেখা হোক না।

আর্যতীর্থ