। হাসির মুখোশ।
তোমার কাছে আসার আগে ,
আলতো হাসির মুখোশ পরি,যেমন তোমার ভালো লাগে ।
রঙচটা এই জীবন ভারী বিশ্রী ঘেমো,
বলতে বাধে কন্যা তোমায় , এই কাদাতে সঙ্গে নেমো।
খুব নিরালায় বসে পাশে,
ফাগুনমাসের গল্প শোনাই, যেন রোজই বসন্তকাল খেলতে আসে।
মুখোশটাকে সাজিয়ে রাখি সুখের রঙে ,
কল্পলোকের মিথ্যে খুঁজে, গরম ভাতের গল্প বলি অন্য ঢংয়ে।
ঠিক সে সময় একটু দূরেই,
আমার বাড়ির শূন্য হাঁড়ি, ফিরলে পরে শুনতে পাবো ‘ভাত কিছু নেই’।
রাতজাগা সেই খিদের খবর,
সে ভাবনাতে কবর দিয়ে, মুখোশ বলে তোমায় গিয়ে ‘প্রেমিক হবো’।
তারপরে হয় তুফান ঠোঁটে ,
চিরন্তনের গল্পগাথা নকশিকাঁথার ফুলকারিতে আপনি ফোটে।
তোমার গালের লালের আভা,
মুখোশ ফুঁড়েই করায় মনে, ভুল হবে খুব এ প্রেমটাকে মিথ্যে ভাবা।
বস্তুত তো এটাই বাঁচায়,
মুক্ত আকাশ তুমিই আমার, বাকি সময় শেকলবাঁধা বাস্তবিকের রুক্ষ খাঁচায়।
আমার মাটির খন্দ এত,
মুখোশখানা সরাই যদি, অমনি তবে তেলচিটে এক গন্ধ যেতো।
ঢাকছি রোজের যাপনক্ষত,
পড়বো ধরা যে কোনোদিন, ঝুটো আলোয় করছি আঁধার ভবিষ্যতও।
হালকা করে মনের কোণায়,
ফিরতি পথে পা বাড়ালে, একলা হবার ফুরসতে এক ধন্দ ঘনায়।
সত্যি তুমি বোঝোনা কি,
প্রেম ছাড়া আর বাদবাকিতে শূন্য লেখা, আজন্মকাল হাসির ঘরে মস্ত ফাঁকি?
হঠাৎই এক সন্দেহে হয় মন উচাটন, আমিও যদি জানতে পারি,
তুমিও হাসির মুখোশ পরো আমার মতন?
আর্যতীর্থ