। দোসরা বৈশাখ।
গতকাল ছিলো নববর্ষটি, আজ পনেরোই এপ্রিল,
বাংলাকে ছেড়ে দিনের রুটিনে গ্রেগরির সাথে ফের মিল,
চোদ্দশো একতিরিশ পেরিয়ে আজ দুহাজার চব্বিশ,
এরপরে সেই পঁচিশে আবার বৈশাখে মন ডুব দিস।
চলতি জীবনে বাংলা মাসের শহুরে চাহিদা শূন্যে,
নববর্ষটি টিকে আছে শুধু মা-দিদিমার পুণ্যে,
বিশ্বের সাথে পায়ে পা মেলাতে আমরা ছেড়েছি সঙ্গ,
বাঙালির কাছে পাত্তা পায়না সালতামামিতে বঙ্গ।
অথচ এখনো গাঁয়ে কৃষকের মুখে ঘোরে মাস বাংলায়
জৈষ্ঠ শ্রাবণ অঘ্রাণ এসে জমিতে ফসল সামলায়,
ঘটনাপঞ্জী বিবরণ দিতে আজও বাংলা চালু বেশ,
মাটি-ছোঁয়া যাঁরা , বাংলা তারিখে যাপন তাঁদের অভ্যেস।
মানছি আমরা শহরে মানুষ, বাবু-বাংলা-ভূষিত,
তবু দুইদিন বাংলাকে মেনে সত্যিই আছি খুশি তো?
সালটাল ছাড়ো, সন্ততি আজ বাংলা মাসকে জানে কই!
শেকড়ের খোঁজে যাবে কেন তারা , গুগল যাদের মানে-বই?
যে যার নিজের বিশেষ তারিখ বাংলায় ধরে রাখলে,
জন্মদিন আর বার্ষিকীগুলো সে হিসেবে মনে থাকলে,
হতে পারে তবে কিছুটা সুরাহা , যাপনে ফিরবে সব মাস ,
বৈশাখ শেষে অব্দ নেবে না ফের একটা সাল সন্ন্যাস।
ধরো যদি বলি , আমার জন্ম হলো চব্বিশে অঘ্রান,
জানি তুমি বেশ ঘাবড়ে গুগলে করবে সেটার সন্ধান,
অথচ এটাই রীতিনীতি হলে বদলাবে ভাব মনের-ও
মাসের হিসেব থাকবে খেয়াল বন্ধু আপনজনের-ও।
দোসরা বোশেখ তারিখও আজকে, যেমন এপ্রিল পনেরো।
আর্যতীর্থ