। ছোটোপর্দা।
দেখুন হে বঙ্কিম, অশ্বের কত ডিম,
আপনার নামে টিভি পেড়ে যায়
কোথায় চৌধুরানি খুঁজে বাড়ে হয়রানি
পাচ্ছি না সিরিয়ালে যা দেখায়।
অবশ্য বাংলায় টিভি জুড়ে হামলায়
শহীদ হয়েছে কত কাহিনী,
নেতাজী ও লোকনাথ দূরে যান সাত হাত,
এসব তথ্য বাপু না চিনি।
কল্পিত ইতিহাস করছে সর্বনাশ
ভিত্তিবিহীন যত তথ্যে
পুরোপুরি গুল হলে তবু কিছু বলা চলে
বেশি ভয় আংশিক সত্যে।
যদি ভাবো ধুত্তোর ছেড়ে এই ভূত-শোর
সামাজিক সিরিয়ালে মন দিই,
চাটু থেকে আগুনেই নিয়মটা লাগু সেই,
ত্যাগ করো সেই অভিসন্ধি।
সিরিয়ালি পরিবার খুরে গড় করি তার
একুশ শতকে সব যৌথ
‘হম দো’ তে করে হিসি পাঁচ কাকা তিন পিসি
গোলমাল লাগে এলে বৌ তো।
কেন যেন বৌমা’কে সবাই দুষতে থাকে
বউ করে নিয়ে আসা ইস্তক
ননদ বা মেজো জা, যেন সাপ লেজে পা
বৌ তাড়ানোর করে বিষছক।
বৌমাটি গুণবতী সংসারে সদা মতি,
ছেড়ে দেয় সখ গান ফুটবল,
জনগণ কেঁদে ওঠে করুণ আর্তি ঠোঁটে
আহা কেউ মেয়েটাকে গুড বল।
ম্যাজিক বা পড়াশোনা সিরিয়ালে দেখবো না
শুধু চলে জোর ষড়যন্ত্র
বারবার বৌমাটি করে সব প্ল্যান মাটি,
চোরেদের তবু বড় কন্ঠ।
ভালো করে দেখো প্লট, কোত্থাও নেই জট,
পচে গেছে বহুদিন বস্তায়
রোজকার জীবনের থোড় বড়ি খাড়াদের
কেউ কি দেখাবে ছোটোপর্দায়?
খবর দেখতে গেলে ঝগড়ার দেখা মেলে
নানাবিধ আলোচনা ছদ্মে,
ব্রেকিং নিউজে স্ক্রোল ফুটনোট ফেঁপে ঢোল
দিশাহারা অ্যাডেদের মধ্যে।
এ চ্যানেল তোলে যাকে ও চ্যানেল ভোলে তাকে
কোনটা সত্যি সেটা বোঝা ভার,
সাংবাদিকতা আজ, ফেলো কড়ি মাখো কাজ
দায় নয় সত্যকে খোঁজা আর।
শুধু কিছু কিছু গানে রিয়ালিটি টেনে আনে
অতীতের ফেলে আসা শান্তি
হয়তো বা মাঝে মাঝে বেজে যাওয়া এস্রাজে
মন বলে এই সুর জানতি।
বাকি ছোটোপর্দায় সময়ের খরচায়,
জোটে শুধু তেতো-মন ক্লান্তি।
আর্যতীর্থ