। ছোটো বড়।
‘শতক উনিশ হলো, বড় হলো কি সে?’
সভ্যতা জিজ্ঞাসা করে জনে জনে
সময় ধমক দিয়ে বলে ফিসফিসে,
‘ফালতু বকিস এত কেন অকারণে?
মানুষ আর এতদিনে বড় হয়েছে কি?
সৃষ্টির শুরু থেকে শুধু মারামারি,
ক’বছর শান্তিতে গেছে বল দেখি,
রোজ ক্ষত গুনে যায় পৃথিবী বেচারি।’
সভ্যতা তোতলায়, ‘ওভাবে বোলোনা,
যুদ্ধ চাইতে যাবে কেন কোনো লোক,
চোখের জলের স্বাদ কতখানি লোনা,
মানুষের চেয়ে কেউ করেনি পরখ।’
‘ধ্যাত্তেরি! গাধা তুই! ‘বললো সময়,
‘ওরকম যারা ভাবে তারা তো জনতা
ওদের ইচ্ছে মানে গণঅপচয়,
ইতিহাস শোনে শুধু নেতাদের কথা।
নেতা যদি মনে করে যুদ্ধ বাধাবে,
ধর্ম বর্ণ বা দেশ নিয়ে দ্বেষে,
নিমেষে শান্তিকথা লোকে ভুলে যাবে,
রক্তের স্রোতে যাবে চারদিক ভেসে’
‘অতটা হতাশ কেন? ‘সভ্যতা বলে
‘ভরসা রাখোনা কেন আলোর মানুষে?’
সময় কাঁপতে থাকে হাসি কলকলে,
‘ পুড়িয়েছে, বিষিয়েছে, ঝুলিয়েছে ক্রুশে।
তারপরে একদিন তাঁদেরই নামে
ভক্তরা গড়ে তোলে ঠ্যাঙারে বাহিনী,
ধার্মিক বনবার প্রবল ব্যারামে,
নানা দেশে নানাযুগে হত্যা কাহিনী।
অকারণ মারে যারা নিজেরই প্রজাতি
প্রকৃতির কাছে বড় ছোটো হয় সে,
বছরের ঘুরে আসা রুটিন নেহাতই,
সংখ্যার বেশি আর কিছু নয় সে’
সভ্যতা তবু বলে দৃঢ় প্রত্যয়ে,
‘ভাবীতে জিতবে আলো, দেখো তুমি ঠিক,
যুদ্ধের হিংস্রতা যাবে শেষ হয়ে,
পথ পাবে অবশেষে আলোর পথিক।’
সভ্যতা সময়কে করেছে শপথ
দায়িত্ব তাকে রাখা তোমার আমার
উনিশে চওড়া হোক শান্তির পথ
এইবারে বড় হয়ে ওঠা দরকার।
আলো-কে বলবো চলো হ্যাপি নিউ ইয়ার..
আর্যতীর্থ