। বদলায় না।
গ্রীষ্মকালের তপ্ত দুপুর, মিনিট লাগে অনন্তকাল
এমন দিনে বহির্মুখী, অভাজনের এমন কপাল
ঘর্ম পড়ে দরদরিয়ে অবাধ্য এক নদীর মতো,
রুমাল ভিজে কি চুপচুপে, গামছা হলে ভালো হতো!
ভাগ্যি এখন বেশী কাজই দিব্য সারা যাচ্ছে নেটে
নানান রকম অ্যাপে এখন বিল মেটানো বুকপকেটে
বিমান ট্রেনের টিকিট কাটো, কিনতে পারো সবজি চালও,
লাইন দেওয়ার চেয়ে বাপু অনলাইনই অনেক ভালো।
ঠাণ্ডা ঘরে আপোষ করি, গ্রীষ্ম যখন ফুঁসছে জোরে,
কে চায় বাপু বিদ্ধ হতে গরমভূতের নখ আঁচড়ে,
আজকে সে ভূত আমার ঘাড়ে, রাস্তা চলি ধুকধুকিয়ে,
বৃথাই বাঁচার চেষ্টা করি, চশমা ছাতায় মুখ লুকিয়ে।
সামনে দেখি রিকশাওয়ালা, কায়ক্লেশে রিকশা টানে,
এধার ওধার ফুটের দোকান, বাধ্যবাধক ঘর্মচানে।
ঠেলাওয়ালা ঠেলছে গাড়ি , পাগড়ি করে গামছা বাঁধা,
কন্ট্র্যাকটর লেবার খাটে, গর্তে ঢোকা শরীর আধা।
হলুদ গাড়ির ট্যাক্সিচালক, ঠেস দিয়ে তার সওয়ার খোঁজে
( প্রজন্ম তো ট্যাক্সি মানে ওলা এবং উবের বোঝে!)
আমরা এখন লু- এর ভয়ে, বাইরে যাওয়ায় প্রায় আব্বুলিস
গরম হাওয়ার ধমক খেয়েও, অনড় অচল ট্র্যাফিক পুলিস।
আমরা যখন ঘরের ভেতর, দিনে পাখা, এ সির রাত,
বাইরে তখন গরম সয়ে কাজ করে যায় লক্ষ হাত
অনলাইনের দৌলতে আজ জীপনযাপন সহজ ঠিকই,
বদলায় নি, বদলায় না আমার দেশের প্রাত্যহিকি।
আর্যতীর্থ