আমার কাছে তুমি যেনো একটি ঢেউ
ভেসে বেড়াও-স্রোতে খুঁজে যাও মিলন
এখানে ওখানে কোথাও তুমি নেই
তোমাকে খুঁজে পাই না, আকাশ পানে চেয়ে রই।
যখন আস প্রচন্ডভাবেই আস
সজোরে ধরে নাও আমার হাত
তোমার দিকে টানতেই বুকে চলে ঝরণার প্রপাত
তারপর পিছু ফিরে চাওনা আমায়
ছুটে পালাও প্রাণনাশক মহামারীর মতো
চারিদিক ছড়িয়ে দাও তোমার পরশ
তারপর অন্য জগতে হারিয়ে যাও
ওখানে যেতে পারে না কোন টিকটিকি কিংবা কুনোব্যাঙ
পাইনা খোজে তোমার নির্ধারিত গন্তব্যের।
চক্ষুর আলোতে তোমাকে করি দর্শন
কখনো নিকট থেকে, কখনো দূর হতে দাঁড়িয়ে
তুমি এক অবাধ্য ঢেউয়ের মতো
স্থায়িত্ব হতে পারো না কোন অবস্থাতেই
কেবলই উড়ে বেড়াও ডানা মেলা পাখির মতন।
উঁড়ু– উঁড়ু– তুমি,অধৈয্য তুমি, তোমার চাহিদায় অনেক তেজ
আমি অসংশয়, মনের দিক থেকে তুমি অচল
তোমার বিবেগ দংশনে জন্মভূমিকে ঘিরে হয় আঘূর্ণিত।
তুমি ভেসে বেড়াও সময়-অসময়
সত্যিই তুমি বিধিমুক্ত উত্তাল তরঙ্গমালা।
সময় কোথায় কারণ ছড়ানোর
যা থেকে বিকশিত হবে শাখা প্রশাখার।
কিন্তু কোনো এক নিশিতে আমি
তোমাকে পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা
আমি পরে নেব প্রেম সাগরের
পিপাসায় তৈরী এক মুখোশ।
আমি মাতৃভূমি থেকে অনেক দূরে
নিরব বালিপূর্ণ কুজখাননে
তোমার সংষ্পর্শ পাবো কোন একদিন
ভ্রমণের প্রস্তুতি নেবো তোমার গন্তব্যের খোঁজে।
হয়তো মরে মরিচিকা হবে দেহটির
বেশ বিষন্ন অনুভূতি আমার
নিষ্টুর ব্যাথা গাঢ় বেদনা পুঞ্জীভূত হয় আমার মনে
মন ছেয়ে যায় ব্যাথার নীলাভ কামড়ে।
গৃহের বাইরে গিয়ে আমি
রজনীর নিবিড় আঁধার-শব্দহীন কুল ঘেঁষে
আমার তুষার-হীম অঙ্গগুলী
শীতল হাওয়ায় ভেসে যাবে
দৃষ্টিসীমার প্রতিটি বাতি আচ্ছাদিত হবে ঘন আঁধারে
পরিবেষ্টিত হয়েছে ভেতরে আসার সমস্তপথ।
নিরাপত্তা বলয় বসানো হয়েছে প্রতিটি দ্বারে
কোনো লোকই কি আমাকে মিশামিশি করাবে না
নির্গত হওয়া রবির সাথে।
সজাগ রাখো মনে শূন্যধাবনের অভিলাষ
হয়তো মৃত্যু হবে ঢেউয়ে ভাসিয়ে যাওয়া পাখিটির।
লেখা শুরু: ০৪/১০/২০১৪ ইং।
প্রকাশের স্থান : সানি কম্পিউটার,
শাহেনশাহ মার্কেট, চকবাজার, চট্টগ্রাম।
তারিখঃ ১২/০৬/২০২৪ইং।