আমি তোমাকে রং আর ফুল দিয়ে সাজাবো না
তোমার সৌন্দর্যের সামনে তাদের কোন মূল্য নেই
আমি তোমাকে ছাড়া শ্বাস নিতে পারি না,
তুমি আমার আবেগ, আমার ভালবাসা!
আর আমি চলে গেলে তুমি ভেঙ্গে পড়বে না।
আমি যখন অনেক দূরে থাকি,
তখন তোমাকে দেখতে মন চাই
মনে করো আমি তোমার পাশেই আছি
হয়তো বা একসাথেই আছি।
তুমি আমাকে রাতের মতই সাধনা করো
আকাশ, মানসিক দৃষ্টি শান্ত হওয়ার মতো
হাজার হাজার তারকারাজি আকাশটাকে আলোকিত করে,
যেমনি আমি তোমাকে দেখতে তাড়াহুড়ো করি।
একটি পরীর পোশাক গায়ে জড়িয়ে নিও
অত:পর দরজায় আমার জন্য অপেক্ষায় থেকো
প্রেমের চোখ বন্ধ করে তিন পর্যন্ত গণনা করো
আমি ঠিক সেখানেই থাকবো তোমাকে আলিঙ্গন করতে,
জীবনের স্বাধ মেটাতে।
আমি একটি চকচকে পাথরের উপর দাঁড়িয়ে আছি
গ্রীষ্মে যৌবনের হালকা হাওয়া বয়ে চলেছে,
সুন্দর একটি রাতের খাবারের উদ্দীপনার মতো
এটা এতটা কঠিন নয়, অবশ্য যন্ত্রণাদায়ক।
আমি পর্বতের দিকে তাকাতেই
তোমার কপালের আলো প্রতিটি পাতায় জ্বলে।
আমি তোমাকে এতটা ভালবাসি যে
তোমার সব হাসি, তোমার চলাফেরা,
তোমার কথাবার্তা, তোমার আচার-আচরণ
মাটিতে পড়ে থাকা মূল্যবান বস্তুর মতো তাদের পাহারা দিই।
নক্ষত্ররা ঝড়ে পড়ছে
কিন্তু তুমি আমার চোখের সামনেই রইলে।
তারকামন্ডল তোমার মধ্যে বিকম্পিত হয়, জলাশয় নড়ে ওঠে,
কল কারখানায় লাকো লাকো শ্রমিকের জীবন বিনষ্ট হয়।
হিমায়িত রক্তপাতের মতো,
কর্কষ কথাবার্তাগুলি তোমার কন্ঠে বাজে
তোমার আচরণ প্রামাণিক কথাবার্তা।
আমার প্রখর ক্রিয়াশীল কার্যসাধনের যন্ত্র
দিনে দিনে পূনর্জীবন লাভ করে;
এদিকে আমি নির্বাগ, উদ্যত।
কিন্তু এই অবকাশের মধ্যে
তারা সকলই চিহৃবিশেষ পরিস্থিতির,
তুমি একা, তুমি স্নেহপূর্ণ দোলন,
কঠিন সমাধি, সজীব শয্যা,
আমাকে অভ্যন্তরে নিয়ে যায়!
আজ প্রভাতের গগণ কত দীর্ঘ!
আমি ধ্বংস হয়ে গেছি, আমার ধারণাতৃপ্তে।
আমি অনুভব করছি
আমার হৃদপিন্ড আমার উপরই আঘাত হানছে।
ছেড়ে যাওয়া জীবনের ট্রেন আমায় নিয়ে যায় বহুদূরে
তোমার পিছু পিছু আসব বলে।
আজ মনে হচ্ছে তোমাকে কাছে পাবো
হয়তো এই অগ্মিসদৃশ মুখমন্ডল শিতল হবে,
হয়তো তুমি নিস্তব্ধ হয়ে বলবে:
গরম জল বয়ে যাচ্ছে
তুমি স্নান করে গায়ে তোয়ালে জড়াবে।
লেখা শুরু: ২৬/০৫/২০২৪ইং।
স্থান: সানি কম্পিউটার
ঠিকানা: শাহেনশাহ মার্কেট, চকবাজার, চট্টগ্রাম।