চাইনা বিকৃত সুখ।
শোষিতের বুক চিরে যা আনীত,
বিদীর্ণ করেছে বিস্তৃত জনপদের সরল হাসি।
রক্ত পানির ঘাম ঝরানো চোখে দেখি,
মৃত্তিকা ভেদ করা ইস্পাত দৃঢ় হাতের শৈল্পিক কারুকাজ।
চাইনা পর্বতসম ঐশ্বর্য।
যার বিরুদ্ধে যুগ যুগ ধরে নির্ভীক আত্মত্যাগ,
একটি মাত্র ক্ষুদ্র কণার উত্তরাধিকার পেরেছে হতে?
ক্ষয়িষ্ণু প্রাচীরের ধূসর এপিটাফ ঘোষণা করছে,
আমাদের যাপিত জীবনের চরম বাস্তবতা!
চাইনা শোষিতের অশ্রুজল।
সমুদ্রের জলরাশির চেয়েও যার ব্যাপ্তি বিশাল!
যে ঋণ শোধ হবেনা জন্মান্তরেও পার্থিব সুখের বিনিময়ে।
দুর্ভেদ্য চেতনার প্রাচীর রুখে দেয় মরীচিকার প্রলোভন,
উপর্যুপুরি নিষ্ঠুর আঘাতে রক্তাক্ত দেহের শেষ নিঃশ্বাস।