হে বৃক্ষরাজি, পত্র-পল্লব ও শিকড়-বাকড়
সহস্র বছর ব্যাপী তোমাদের সহাবস্থান,
এ মানবকূলে কত স্মৃতি ধারণ করে!
কেউ তোমার যেন প্রকৃত স্বজন,
সযত্নে তোমায় করছে লালন।
আবার কেউ তোমায় করছে বিনাশ
হন্তারক হয়ে করছে সভ্যতাকে লাশ।
অথচ এতটুকু তুমি করোনি প্রপঞ্চ
আমাদের সহিত বীতশ্রদ্ধ হয়ে,
কখনো সাজাওনি ভন্ডামির মঞ্চ।
আমাকে রেখেছো চলমান এ ধরায়
কার্পণ্য করোনি কভু উপহার দিতে,
প্রাণভরে দিয়েছো সজীব নিঃশ্বাস!
বিকশিত করেছো উন্নত পৃথিবী
দিবানিশি আগলে প্রশান্তির ঘুমে।