নিশ্চিন্তে একাগ্র ধ্যানে কোন অবেলায়
ধীরে-ধীরে সমস্তই স্মরণ হয়ে গেল,
আমি যে বিশুদ্ধ নই-
আমি যে না পাওয়ার ব্যাথায় বিহ্বল!
পাপের পঙ্কিল বিভীষিকার অরুণোদয়-
বিবেক আদালতে মৃত্যুদন্ডের আসামী;
যে স্বপ্নের শেষ সম্বলটুকু-
গলা টিপে হত্যা করেছি স্বার্থ ভ্রমে।
দুর্বুদ্ধির স্পর্ধায় হারিয়েছি তাকে
অবহেলার অবিচ্ছিন্ন আকর্ষণে,
যার সংশয়ক্ষুব্ধ ক্রুদ্ধ তপ্তশ্বাস-
আমার বক্ষঃস্থলে করে দংশন
শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে দেয়-
তিরস্কারের বিষ;
তখন কপটতার লেনদেন চুকাতে আসে-
তার স্নিগ্ধ-করুণ দুটি চোখ-
কখনো বুর্জোয়ারা দাঁত খিঁচিয়ে বলে,
শুধু যন্ত্রণাই তোমাকে ভালবাসে
অন্য কেউ নয়।
জন্ম-জন্মার্জিত মৃত্যুর আছে গোপন মাধুর্য-
শরৎকালের সৌন্দর্যে আছে শুভ্র সাদা মেঘ,
মর্মর পাতার করকর ধ্বনি সেটাও তো সূর!
কিন্তু বিমূর্ত কলমের স্বীকারোক্তিতে-
যা লিখে গেলাম;
তার কোন মাধুর্য নেই, সৌন্দর্য নেই-
তা শুধু বিউগলের করুণ সুরের মত,
নারীর কাজলের নিংড়ানো কলঙ্ক দাগ।