এক যুগ পেরিয়ে গেল তুমি নেই কৃষ্ণকলি,
তোমাদের বিক্রি করা পুরনো বাড়িটা ভেঙ্গে দুই তলা বাড়ি বানালেন কলিম মিয়া,
গতবছর তোমার সখি বুড়ো বরকে করছে বিয়া;
তুমি আমি যে ভাঙ্গা সাঁকোর পাড়ে দেখা করতাম সেটা এখন বিশাল ব্রীজ,
রাস্তাটাও হয়েছে পাকা;
খেলার মাঠটায় আগের মত খেলেনা কেউ আর,
প্রায়ই থাকে ফাঁকা।

মায়ের জন্য খুব কান্না পায়,
মা-মারা গেছেন চলছে চারবছর;
জানো, রত্না এখন বদ্ধ পাগল লাগছে জীনের আছর!
বিএসএফের গুলি লেগে শফি হারিয়েছেন ডান পা,
কালোবাজারী ধান্দা ছেড়ে টং দোকানে বেঁচেন চা;
গ্রামেও লেগেছে রাজনীতির হাওয়া কোন্দল চলছে রাত-দিন,
শহরে একটা চাকুরী জুটিয়েছি নিঃসঙ্গ লাগে তুমিহীন।

বাবা নিজের ব্যবসা ছেড়ে তাবলীগে দিলেন যোগ,
কী জানি কী খোদা জানে ধরছে বুঝি মায়ের শোক;
তরু আপু টিচার হয়ে পড়াচ্ছে গ্রামের স্কুলে,
রাতিন কাকার দুটি মেয়ে পাক ধরেছে তার চুলে;
বদলে গেছে চেনা মানুষ বদলে গেছে প্রকৃতি,
বদলায়নি আমার বুকের তোমার আমার সেই স্মৃতি;
চলছে জীবন ঘোড়ার মত মনের দরজা অবরুদ্ধ,
জানি একদিন ফিরে আসবে তুমি আমরা পরস্পর ওয়াদাবদ্ধ।