একদিন আমারে কইছিলেন,
'তোমারে ছাড়া বাচমু না'
অহন তো ঠিকই বাইচা রইছেন,
সংসার করতাছেন,
সন্তান জন্মাইছেন;
স্বামী-শ্বাশুড়ীর ফরমাইশ খাটছেন,
কামের ভুলে গালি হুনছেন,
রান্নায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন!
সুখে হাসছেন--দুঃখে কাঁদছেন,
নিজের জন্য বাইচা আছেন বাইচা থাহেন আমারে কামলা ডাকার লাইগা অইলেও।
মাইনষের মুখেত্তেন হুনি আন্নের ম্যালা সুখ,
গোলা ভরা ধান--পুকুর ভরা মাছ,
গঞ্জে জামাইর মোদীর দোহান!
আমি ধানের ক্ষেতে কাঁচি চালাইতে চালাইতে কল্পনায় দেহি,
উওরমূখী বারান্দায় বইয়া,
শ্বাশুড়ী বেটির পাকা চুলে ঘাইসা দিচ্ছেন গন্ধরাজের তৈল;
দু'চোখ ভইরা দেহি পরাণে শান্তি পাই,
আন্নের সুখ-আহ্লাদ দ্যাহার তৈফিক দিয়া মাবুদ আমারে ভূবনে পাঠাইছে।
বাপের বাড়ী নাইওর আইলিপরে,
আমাগো ঘরের ভাঙা জানালা দিয়া উঁকি মাইরা দ্যাহেন, ঘরে বিবি-বাচ্চা কেউ নাই;
কামলাডায় আগের লাহান ছেড়া চাদর জড়াইয়া চিৎ অইয়া শুইয়া রইছে!
আপনার আমার পুরাইনা কথা গুলান মনে অইলে,
আসমানের দিকে চাইয়া বিড়বিড় কইরা কই;
কামলার হাতে কাঁচি ধরাইয়া দিয়া ধানক্ষেতে পাঠান যায়,
আঁচল দিয়া ঘাম মুইচা দেওন যায়,
ভালবাইসা আদরও করান যায়;
কামলা বইলা বিয়া করান যায় না।