তোমার মত করে ভালোবাসতে পারবো যেদিন,
সেদিন আমার আঙিনায়ও গোলাপ ফুটবে,
অজস্র আগাছার আবরণ বিদীর্ণ করে তেড়েফুঁড়ে
উঠে দাঁড়াবে স্বর্ণালী বৃক্ষ বনস্পতির দেয়াল!
সূর্যঘর থেকে নরম রোদ নিয়ে আসবে প্রভাতের ডাকপেয়াদা!
আমার শরীর জুড়ে নামবে আঁতুড়ঘরের নবজাতকের পবিত্রতা।
তোমার মত করে ভালোবাসতে পারবো যেদিন,
সেদিন বজ্রনাদ বন্ধ হবে, অবেলার মেঘরাগ শান্ত হয়ে যাবে।
দুপুর হবে দুপুরবেলার মতই, যেমন হেমন্তে হয়;
নবান্ন পরবের কিষাণীর হাসির মতন, যেমন হেমন্তে দেখা হয়!
পশলায় ঝরে যাবে কালশিটে ক্ষত,
উপশমক হবে প্রকৃতিজাত এক একটা সাজসরঁজাম।
বলিষ্ঠ আমি হবো একান্ত কার্যকর্তা সেদিন,
তোমার জন্য গড়ে দেব মখমলে অমরলোকের একমুখো রাস্তা।
তোমার মত করে ভালোবাসতে পারবো যেদিন,
সেদিন সায়াহ্নে বসবে রংচঙা মেঘবাসনের কাটরা!
যাবতীয় অনবদ্যতা আমার বারান্দায় দিয়ে যাবে সাঁঝবাতির শিখাগুলো।
রাত হবে পরম মমতায়, যেমন হয়নি কখনও, হবেনা কোনকালেও!
অভিযোগনামার পাশে পড়ে থাকবে শুন্য দোয়াতদানি!
যেদিন তোমার মত করে ভালোবাসবো, সেদিন লিখবোনা কিছুই,
যেদিন তোমার মত করে ভালোবাসবো, তোমায় ভালোবাসবো শুধুই।