সেবার সমুদ্রকোলে তোমার সঙ্গে জড়ানো ছিলো জীবনের অনুরণন!
বেলাভূমির শঙ্খ বিছানায় দু'জনার এলোপাথাড়ি সম্ভাষণ।
তোমার শরীর জুড়ে উত্তাপ এনেছিলো দ্বিপ্রহরের জ্বলন্তভাষা,
যেন উর্বশী দেহে জ্বলজ্বল করে স্বর্গীয় মান্তাসা।
আমি সেবার,
কণ্ঠে ধরেছিলাম তোমার কণ্ঠহার।
সমুদ্রজাত শামুকের মত ভেজা পাঁজরে লুকিয়েছিলাম মূল্যবান মুক্তো,
তোমার জন্য ততটাই, এই আমি ছিলাম নিযুক্ত।
গাংচিল দেখে বলেছিলে, আমারও আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করে!
সে করুণ কণ্ঠে তোমার, আমি তখন পুরোটাই নড়বড়ে।
ভাবি তবে হোক তাই,
পাখিদের ডানা লুটে হলেও তোমায় আকাশ ছোঁয়ানো চাই।
বেলাভূমির শঙ্খ বিছানায় আমাদের এলোপাথাড়ি সম্ভাষণ,
পাতানো আসন,
করে শূন্য,
আমি তখন ব্যস্ততম প্রেমিক তোমায় আকাশ ছোঁয়াবার জন্য।
গাংচিল দেখে বলেছিলে, আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে হয়,
আমি তখন নাহয়,
একজোড়া ডানার খোঁজে ছুটে গেছি পাখিদের অভয়নগর,
তাই বলে সহজেই ছেড়ে যাবে সমুদ্রকোলের জমানো আদর?
তুমি জেনেছো কি সেই জোড়া ডানার গল্প কোনদিন?
কত পাখির ঘর ভেঙ্গেছি নরভুকের মতন দয়াহীন।
তাদের কাছে গিয়ে,
তোমার জন্য ডানা এনেছিলাম বিশ্রদ্ধ নগর পুড়িয়ে।
সেই গাংচিল মনে পড়ে গেছে আজ,
যার ডানার শব্দে শুনতে পাওনি আকুলতার এত আওয়াজ।
সেই গাংচিল মনে পড়ে গেলো,
যার ডানার নিচেই জীবনের বৈরী আঁধার অবশেষে এসে দাঁড়ালো।
আজ সে গাংচিল দেখি সন্ধ্যা অব্দি
এবং উপলব্ধি;
একজোড়া ডানার জন্য আমি যখন পাখিদের নগর পোড়াই,
আকাশ ছুঁতে তখন তোমার পুরো আকাশটাই যে চাই।