কোন একদিন ভায়োলিন বেজে উঠেছিল
হৃদয় ভাঙ্গার সুর, আহা কি বেদনা বিধুর!
তোমার ঠোঁট-জোড়া খুজেছি চব্বিশঘণ্টা
বারবেরিয়ান বন্দীর মত অনন্ত তৃষাতুর!
এমনও হয়েছে প্রায়শ তোমার সূক্ষ তিল
আমার সমস্ত রাত করেছে এলোপাথাড়ি,
মুখস্থ আঙুল ছোঁয়া পাইনি কোথাও তাই
এদিকওদিক ছুটেছি নিজের কেন্দ্র ছাড়ি।
সেইতো বিদায় আদি-অন্ত নিয়ত আঁধার
নিজেকে গড়েছি তাই পোড়ামাটির মতন,
কাঁচ ভাঙার খেলা; শয্যা পাতি দূর্বাঘাসে
রক্তাক্ত পুষ্প বিসর্জনে নিংড়ানো উঠোন।
আমি তোমার শরীর ভেবে রাক্ষসের মত
পাখীদের ডানা হতে ছিঁড়েছি শুভ্র পালক,
নদীজলে বিষে বিষে নীলকমল ফুটিয়াছি
স্নানঘাটে এঁকেছি বিশ্বাস ডোবাবার ছক!
এভাবেই আমার শিকারি হয়ে বেড়ে ওঠা
সমস্ত সুন্দরের অন্তরায় নিন্দিত সৃষ্টিনাশা,
হৃদয় ভাঙ্গার সুর, এখনও বেদনা বিধুর
মুছে দেবে ইতিহাস আমার নষ্ট ভালবাসা।