সে আসে,
সকালের শান্ত মেঘে পা ডুবিয়ে
ভোরের কিচিরমিচির পাখির গানে
শহরের শূন্য রাজপথ ধরে
ঘুমন্ত নগরীর ঘুম ভাঙ্গিয়ে
হেঁটে আসে খালি পায়ে
স্নিগ্ধতা ঘিরে থাকে তার চারপাশে
সেই স্নিগ্ধতা সে ছড়িয়ে দেয় সবার মাঝে
ছড়িয়ে দিতে দিতে সে আসে।
রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানীও আসে তখন,
আসে, এসে দোকান খুলে বসে সে
একটু পর গুটিগুটি পায়ে আরো কয়েকজন আসে
তারপর আসে ধোয়া ওঠা চায়ের কাপ
মিষ্টি একটা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে।
স্নিগ্ধ ভোরে আরো কয়েকজন আসে,
তার বের হয় ফাঁকা রাজপথে হাটতে
ভোরের স্নিগ্ধতা গায়ে মেখে নিতে,
গায়ে মেখে নেয়ও তারা যে যার মত।
তবুও তাতে তার স্নিগ্ধতা কমে না একটুও,
সে হেটে চলে স্নিগ্ধতা ছড়াতে ছড়াতে
খোলা চুলে, দুষ্টুমির হাসি হেসে।
ধীরে ধীরে সূর্যটা একটু উপরে ওঠে,
মিষ্টি রোদ ছড়ায় চারিদিকে
কিন্তু সে মিষ্টতা ক্ষনিকের।
আস্তে আস্তে তার স্নিগ্ধতা কমে
বদ মেজাজি সূর্যটার দাপটে
ছুটি হয় তার, ফিরে যায় সে।
তবে, ছুটি হয় আজকের মত
সে আবার আসবে কালকে
সূর্যটা ঝলসে ওঠার আগেই,
এসে ছড়াবে তার স্নিগ্ধতা
সবার প্রানে..
-১৭/০৩/২০১৪