১.
শতবর্ষের শুষ্কতার শেষে
শেষ হয়ে আসা বিকেলের আকাশটা
ঘোলাটে হয়ে আসছে ধীরে ধীরে,
ঈশান কোন ছেয়ে যাচ্ছে কালো মেঘে।
ওপারের ভাড়া বাড়ির কিশোরী মেয়েটা
ছাদে উঠে কাপড় তুলতে গিয়ে-
আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ দৃষ্টিতে;
তার মেঘ কালো খোলা চুল
আছড়ে পড়ছে তার মুগ্ধ চোখে মুখে।
বর্ষার আগমনের ঠিক আগে
আমি খোলা জানলায়,
ক্লান্ত বিকেলে,
অবাক হয়ে দেখছি আকাশ,
আর দেখছি তাকে।
চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ একে,
শেষ বিকেলের হারিয়ে যাওয়া সূর্যটার
শেষ কিরনের এক ঝলকে..
২.
মেয়েটা নেমে গেছে একটু আগেই
ঝড়ো হাওয়াও আরেকটু বেগ পেয়েছে যেন।
বিকেলের শেষ আলোটুকুও হারিয়েছে এখন-
জমে থাকা একরাশ মেঘেদের ভিড়ে।
আমি এখনো খোলা জানলায়,
হতভাগা মনটা কিজানি হারিয়েছে কোথায়!
বসে আছি বর্ষার প্রথম বর্ষনের অপেক্ষায়
বাইরে এককী আকাশটা আজ অসম্ভব কালো..
৩.
এইতো বৃষ্টি নামলো,
বর্ষার প্রথম বৃষ্টি
রিমঝিম রিমঝিম-
সেই পুরনো সুর
তবু, আজও চির নতুন
চির তরুন যেন!
গোধূলির আলোছায়া মাখা
জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দেই হঠাৎ
কিন্তু, ইট কাঠের চার দেয়ালে
পবিত্র সে জল হয়না স্পর্শ করা,
কিংবা এ অপবিত্র হাতে সে জল দেয় না ধরা!
তাই বর্ষার প্রথম বর্ষন-
থেকে যায় অধরাই।
জল স্পর্শে হয়না অভাজনের বর্ষাবরণ..
-২৬/০৫/১৪
রাজশাহী