আজ পৃথিবীর বয়স হয়েছে,আর সহে না
সহে না তার পাপের বোঝা,কি করবে সে!
কোটি কোটি বছর ধরে,সহেছে অনেক কষ্ট,
পৃথিবীর ঘুমন্ত রঙিন স্বপ্ন, সব হয়েছে নষ্ট।
সে বলেছিল কাঁদিওনা তারে,কেউ শোনেনি,
আজ মৃত্যুর দরজায় দাড়িয়ে,হাসছে সে,
এটা কি সত্যিই হাসি,না যন্ত্রণার আত্মনাদ?
মানবহীন পৃথিবী পৃষ্ঠে,জন্মেছে গিরিখাত।
ওটাই নরকের দরজা,কালো নিঃসাড় গহ্বর,
যেখানে গেলে হাজার,আত্মচিৎ ভেসে ওঠে,
সে চিৎকার শুধু মর্মঘাতী,লাসের কঙ্কালের,
সেখানে শান্ত লাসের দুর্গন্ধতা,সদাই মানবের।
আজ বুড়ি মায়ের পায়ে ব্যথা,দেখতে পায়না,
চোখে যেন ছানি পড়েছে,চুল সাদা হয়েছে,
পড়েছে দেহে ভাঁজ,দন্ত হীন করুণ কষ্ট তার,
বিচার নাই,কয়েদি নাই,আজ শূন্য কারাগার।
কারাগারে,মাকড়সা ফাঁদ গুলো আছে,সে নাই,
ইতিহাস হয়ে গেছে সব,তাদের নিজের পাপে,
সূর্যের চোখও রক্তের মতো লাল,ফাটবে বুঝি,
পুরো দুনিয়া,আজ একা,প্রাণের স্পন্দন খুজি।
কোথায় গেলো প্রাণ?প্রাণ বলে কি কিছু হয়?
আজ প্রাণতো কল্পনার অতীত,সবই মিথ্যা,
এই বিশ্বজগৎ,হাজার বছর ধরে,খুজবে তারে,
আশাহীন,আলোক বর্ষ,ফিরে যাবে বারেবারে।
এই আকাশে উঠবে চাঁদ,ঝরবে হয়তো বৃষ্টি ,
কিন্তু তাকে নিয়ে,কবি আর কবিতা লিখবে না,
কেউ গায়বে না,কোনো গান,সভাগৃহ রবে শূন্য,
থাকবে পড়ে মরা কঙ্কাল ,আর মৃতের আরণ্য ।
সে তার ভালোবাসার,প্রতিদান দিয়েছে মাত্র,
তার বেশী কিছু নয়,যেন ভালবাসার ঘায়ে দগ্ধ,
ছিনিয়ে নিয়েছি অনেক কিছু,যা চাওয়ার নয়,
হয়তো জোর করে,হৃদয় করতে চেয়েছি জয়।
ভালবাসা এই ভাবে পাওয়া যায় না,যায় কি?
ভালবাসার সমাধি,নিজের হাতে গড়েছি আজ,
অভুক্ত কুকুরের মতো,ছিঁড়ে খেয়েছি তার দেহ,
করুণা করে করোনা দিলি,বাঁচবে না আর কেহ