আমার ইচ্ছে গুলি,বদলাই নি আজও,
আকাশের রামধনুর রঙে,তুমি যে সাজও।
শুধু বদলে গেছো তুমি,আজ আমাতে,
কষ্ট গুলি কাঁদে একা,পারিনি থামাতে।
ফেলে আসা,এটুকু ছোঁয়ার অভিপ্রায়,
তুমি বুঝেও বোঝনি,আমি কেন অসহায়।
আর কতো দিন,এভাবে তোমার অপেক্ষায়,
দিন কাটাবো একা আমি,এই বিষণ্ণতায়।
চলে গেলে তুমি কেন,আমায় ফেলে,
সেই প্রিয়তমা,তুমি কেন আজ,বদলে গেলে?
বৃষ্টিহীন এই হৃদয় কেন,বলো জলে ভরালে,
আমার নিঃসঙ্গতা,খুজে মরে,চোখের আড়ালে।
আমি চাইনি কিছুই,আমার ফেলে আসা দিন,
আমি বলবো না,আমার শোধ করো ঋণ।
তোমার চঞ্চলমতি,আমায় ব্যর্থ মনের আবেগ,
প্রতিদিন আঁকে তোমার ছবি,মনের কালো মেঘ।
তুমি যেন ধরা দিয়েও,দাওনা ধরা,অকারনে,
ঘুড়ির সুতো,ছিড়ে দিলে যেন,শত বারনে।
তবে কি কারনে,দিলে তুমি,চোখে অশ্রু ঢেলে,
সেই প্রিয়তমা,তুমি কেন আজ,বদলে গেলে?
নিরব প্রেমের হাতছানিটা,লেখে মনের কবিতা,
কাঁদে হেথা একা বসে,পোড়া মনের জলছবিটা।
তবু মন ভোলেনা সেই মুখ,নিরব নিষ্ঠুরতায়,
যেন আঁকাবাঁকা রাস্তার মঝে,খুজেছে তোমায়।
বসন্তের বিকেলবেলা,কোকিলের পতিত পালক,
মনে করে দেয় যেন,আত্মঘাতী সেই পরলোক।
স্বপ্নের সর্গেও এ মন আমার,একা পুঁথি লেখে,
শুখনো পাতা ভিজলো বুঝি, তোমায় দেখে।
হাতটা ধরে ভুলেছ আমায় ,নিষ্ঠুর কৌশলে,
সেই প্রিয়তমা,তুমি কেন আজ,বদলে গেলে?
বেঁচে থাকা আজ কেন,মৃত্যুজাত অমৃতময়,
তবে কি সব ছিল তোমার,সুরতি অভিনয়।
আমি তো বুঝতে পারিনি,তোমার অবহেলা,
আগুনে পুড়ে যাওয়া,মিথ্যের সংসার খেলা।
পাথরের বুকে-হেঁটে,ফোটানো আমার ফুল,
সব নষ্ট নিরবতা,মৃত অঙ্কুর যেন ভরায় দুকুল।
বেঁচে আছে এই শুধু মন,পাগলে পাগলামি,
ছেঁড়া শরীরে জোড়াতালি,সেই দুঃখের গ্লানি।
আজও হেথা দগ্ধ জীবন,নিঃসঙ্গ চোখ মেলে,
সেই প্রিয়তমা,তুমি কেন আজ,বদলে গেলে?