ডুগ ডুগ ডুগডুগির,আর তুবড়ি বাঁশির শব্দে,
মন চলে যায়,সাপুড়ের সাপের খেলায়।
বাঁশির শব্দ যেন নেশা,আকুল করে তোলে,
মন প্রাণ,কিছু তৎক্ষণাৎ আনন্দের অনুভবে।
কুসংস্কারের মধ্যেও,মন বসে থাকে সেথা,
তাবিজ কবজ,সবইতো মিথ্যার অন্তরালে।
তবুও কিছুটা সময়,দিতে চাই,খুশির উপলব্ধে,
ডুগ ডুগ ডুগডুগির,আর তুবড়ি বাঁশির শব্দে।
কেউটে সাপের ফোনা তুলে,মাথা দোলানো,
যেন বাঁশির তালে তালে,নৃত্যের চারুকলা।
সে কিছু বোঝে না,শোনে না,তবুও নৃত্যকারী,
মায়াবী বাঁশির সুরে,সে রপ্ত করেছে সবই।
শুধু নিজের জন্য নয়,সাপুড়ের পেটও ভরে,
পাগড়ি মাথাতে,গাল ফুলিয়ে বাজায় বাঁশি।
বিষধর বিষ্ময়কর সাপের,মাথায় আঁকা পদ্মে,
ডুগ ডুগ ডুগডুগির,আর তুবড়ি বাঁশির শব্দে।
কিছু মিথ্যা কথার ছলে,সবারই মন ভোলায়,
কাল নাগীণিও আছে,ঘুমাচ্ছে বুঝি ঝোলায়।
সাথে বানর নাচের ছন্দ,নাটক করে অন্ধ,
যা দিবি সে সবই খাবে,নাই যে কোনো দ্বন্দ্ব।
ছেলে বুড়ো গোল হয়ে,জমানো সেই আড্ডা,
জীব জড় সব মিলিয়ে,জীবন এখন জাড্যা।
হারিয়ে গেছে সাপের খেলা,আইনেরি জব্দে,
ডুগ ডুগ ডুগডুগির,আর তুবড়ি বাঁশির শব্দে।
সব শেষের পথে,থাকবে না তারা,লুপ্ত হবে,
দেখতে পাবে যাদুঘরে,নাগিন বাঁশিরা রবে।
কোনো চিত্রকর যদি,ছবি এঁকে যায়,সাপুড়ের,
হয়তো তবেই থাকবে তারা,নইলে পড়বে মারা।
যুগের হাওয়ায় বদলেছে,অনেক কিছুর রঙ,
দেখ সবুজ হয়েছে ফিকে,ধরেছে মননে জং।
ছেলেবেলার স্মৃতিটুকু,থাকুক আমার পদ্যে,
ডুগ ডুগ ডুগডুগির,আর তুবড়ি বাঁশির শব্দে।