প্যান্ডেল সাজে ফুলে,আরও আছে জড়িবুটি,
কখনও চালের মূর্তি ,কখন বা দামি ধাতু ,
মায়ের দামি কাপড় এসেছে ,বিদেশ থেকে,
লাইটে খরচ লাখ্,নানা রুপে মায়ের আদল,
কখনত্ত গরিব দুঃখি,কখনত্ত বা মমতা রূপি,
ঢাকের শব্দে,কতো মায়ের কান্না ঢেকে যায়।
কে রাখে তার খোঁজ!শব্দ যেন শব্দ নয়,
যেন আত্মার করুণ বিস্ফোরণের ধ্বনি ।
সবার সম্মিলিত উল্লাসে,তা যে অতি ক্ষীণ ,
এমন পূজা মা কি ,চেয়েছে কোনো দিন?
পেটে খিদে নিয়ে ,বসে আছে ফুটপাটে,
আমফান,ইয়াস,কেড়েছে তার ভিটা বাড়ি।
পরনে ছেঁড়া কাপড় যেন,কাপড়ের মতো নয়,
লেগেছে কাদা মাটি,শুকিয়ে গেছে তাও!
এক চোল জলের আশায়,শুখা চাষের জমি,
ফসল কেড়েছে গাঁঙে,ভেঙেছে মনের বাঁধ।
তবু এই শহরের মানুষ ,দূগ্গা পূজার আড়ম্বরে,
ওড়ানো সোনার পাখি,খুজে আনে খুশি ,
খালি পায়ে ,শহরের ভীড়ে,ফুটুছে আলপিন ,
এমন পূজা মা কি ,চায়েছে কোনো দিন?
কলসে জল নাই,রান্নাঘরে পড়েছে তালা,
জ্বর জ্বালা কিছু নয়,আছে ভিক্ষার থালা।
যে মাটি ভরাতো পেটের খিদে,তাও শেষ,
তাই দলে দলে,শহরের ফুটপাতই আশা।
যদি দয়াকরে ,জননী আমার,মেটায় ক্ষুধা ,
কালো চোখে ,পড়েছে আরো কালি ,
এ যে কাজল নয়,কালো স্বপ্নের ছায়া।
স্বপ্ন দেখতেও আজ ,পয়সা লাগে গো!
স্বপ্নেও মায়ের চোখে,জল ঝরে প্রতিদিন ,
এমন পূজা মা কি,চেয়েছে কোনো দিন?