সেই ছোট্ট বেলা থেকে,পড়ার ব্যাগটা ভারী,
টিফিনের খাওয়া নিয়ে,সে কি কাড়া কাড়ি।
কালো বুট চকচকে,ঝুলছে বুকেতে টাই,
খালি পা আমার তখন,ছেঁড়া চপ্পলও নাই।
মাথা ভরা চুল আছে,ছিলো শুধু হাসি ,
সেই তখন থেকেই,তোমাকে বড়ো ভালোবাসি।
কেঁদেছি তখন আমি,অনেক মেরেছে গুরু,
সেই ব্যথা নিয়ে হাতে,জীবনের পথ চলা শুরু ।
ত্রিশ বছর ধরে আমি,আজও পাঠে রত,
বদলাবে কি জীবন এখন,শৈশবের মতো।
বদলে গেছে শিক্ষা গুরু,বদলে গেছে সমাজ,
এখন নাকি শিক্ষা দীক্ষা,শুধুই মাত্র কাজ।
কাজের বেশি করেনা কিছুই,হাতে নেই ছড়ি,
কাজের সময় শেষ হলো কি?দেখে শুধু ঘড়ি।
কেঁদেছি তখন আমি,অনেক মেরেছে গুরু,
সেই ব্যাথা নিয়ে হাতে,জীবনের পথ চলা শুরু।
হয়তো এখন গুরু দক্ষিণা,শুধুই মাত্র টাকা,
বিক্রি হচ্ছে শিক্ষা দেখি,বাবার পকেট ফাঁকা।
এমন শিক্ষা পেয়ে শুধু,ভরবে তোমার ফাইল,
বেকারত্বের জ্বালায় তুমি,বেচবে ফিনাইল।
ডোমের চাকরি,পাবে কারা ,সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব ,
শিক্ষার দ্বারে ঘুন ধরেছে,দুয়ারে খানা খন্দ।
কেঁদেছি তখন আমি,অনেক মেরেছে গুরু,
সেই ব্যাথা নিয়ে হাতে,জীবনের পথ চলা শুরু।
আজও এ মন ছুটে যায়,স্মৃতির শান্ত ভিড়ে,
স্কুলের পঠন পাঠন,দেখা দেয় মনের তীরে ।
তীরে বাঁধা নৌকা খানি,ডাকছে আমায়,
শৈশবে ছুটে যায় মন,নাজানি কিসের অভিপ্রায় ।
ইচ্ছে হয় গুরুর কথায়,কানধরে দাঁড়াতে,
পরিচিত হতে চাই ,ডানপিটে পাড়াতে।
কেঁদেছি তখন আমি,অনেক মেরেছে গুরু,
সেই ব্যাথা নিয়ে হাতে,জীবনের পথ চলা শুরু।
আমার গুরু ,আমার কাছে ,আজও সন্মানীয়,
গুরুর স্থান ঊর্দ্ধে থাকুক,এটাই প্রার্থনীয়।
আসল গুরু মা-বাবা,গুরুকে জানাই প্রণাম,
জানতে চেওনা কোনো দিন,ভালোবাসার দাম।
মাথায় থাকুক গুরুর ধূলি,উচ্চ হবে শির ,
জীবন পথের চরকীটাকেও ,হতেই হবে স্থির ।
কাঁদবো না তখন আমি,যতই মারুক গুরু,
সেই ব্যাথা নিয়ে বুঝি,নতুন পথ চলা শুরু।